কিছু পানীয় আছে, যেগুলি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ছবি: সংগৃহীত
খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম এবং শরীরচর্চা না করা— ওজন বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে মূলত রয়েছে এই দু’টি কারণ। এক বার ওজন বেড়ে গেলে তা কমানো মুশকিল হয়ে প়ড়ে। রোগা হওয়া প্রায় সাধনার মতো। পরিশ্রম না করলে মেদ ঝরানো সত্যিই অসম্ভব হয়ে পড়ে। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরচর্চা তো রয়েছেই, তবে ওজন কমাতে গেলে খাওয়াদাওয়ায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, শরীরে মেদ জমে বিভিন্ন খাবার খাওয়ার অভ্যাসেই। কিছু পানীয় আছে, যেগুলি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েট শুরুর আগে বরং কিছু পানীয় খাওয়া বন্ধ করে দিন।
কফি
শীতের আমেজ গায়ে মেখে ধোঁয়া ওঠা কফির কাপে চুমুক দেন অনেকেই। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ক্যাফিন ওজন কমাতে পারে। কিন্তু কফিতে যদি মেশে চিনি, ক্রিম, অতিরিক্ত দুধ— তা হলে মোটা হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। এই আনুষঙ্গিক উপকরণগুলিতে লুকিয়ে রয়েছে ভরপুর ক্যালোরি। দিনের পর দিন এই ভাবে কফি খেলে ওজন বেড়ে যাবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কালো কফি খেতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েট শুরুর আগে বরং কিছু পানীয় খাওয়া বন্ধ করে দিন। ছবি: সংগৃহীত
ঠান্ডা পানীয়
ওজন বাড়িয়ে দিতে এই ধরনের পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। ঠান্ডা নরম পানীয়তে রয়েছে অত্যধিক পরিমাণে শর্করা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রয়েছে ক্যালোরিও। ঘন ঘন এই পানীয় খেলে ওজন তো নিশ্চিত বা়ড়বেই, সেই সঙ্গে আর্দ্রতা হারাবে শরীরও। এর প্রভাবে হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা হানা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফলের রসে
শরীরের যত্ন নিতে ফলের রস খুবই স্বাস্থ্যকর। পুষ্টিবিদরাও রোজের খাদ্যতালিকায় এই ধরনের স্বাস্থ্য উপকারী পানীয় রাখার কথা বলে থাকেন। অনেকেই সে কথা মেনে চলতে দোকান থেকে প্রক্রিয়াজাত ফলের রস কিনে এনে খেতে শুরু করেন। আর এখানেই দেখা দিচ্ছে সমস্যা। বাজারচলতি ফলের রসে শর্করা মেশানো থাকে। বাড়তি ক্যালোরি মিশে থাকে। এই ফলের রস শরীরের যত্ন নেওয়ার বদলে আরও ক্ষতি করে। ওজন তো বাড়েই, সেই সঙ্গে আরও অনেক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিও থাকে। তাই বাজার থেকে কিনে না এনে বরং বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন। তবে ভুলেও তাতে চিনি মেশাবেন না।
অ্যালকোহল
অত্যধিক মদ্যপানের ফলে যে শারীরিক সমস্যাগুলি দেখা দেয়, তার মধ্যে অন্যতম ওজন বেড়ে যাওয়া। উৎসব-উদ্যাপনে সুরাপাত্রে চুমুক দেন অনেকেই, তবে রোজ রোজ এমন চলতে থাকলে কিন্তু ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই রোগা হতে চাইলে মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।