পেলের মতো পরিণতি যেন আপনার না হয়! ছবি: সংগৃহীত।
অফিস, বাড়ি, অন্যান্য দায়িত্ব সমস্ত কিছু সামলে আলাদা করে শরীরের যত্ন নেওয়ার সুযোগ হয় না। শরীরের প্রতি যত্নের অভাব তো আছেই, সেই সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতায় শরীরে বাসা বাঁধছে নানা কঠিন রোগ। কোলন অর্থাৎ মলাশয়ের ক্যানসার তার মধ্যে অন্যতম। ইদানীং এই ধরনের ক্যানসারের প্রকোপ বেশি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মলাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। ‘দিল্লি স্টেট ক্যানসার ইনস্টিটিউট’-এর ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। গবেষণা জানাচ্ছে, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সিদের মধ্যে এই ক্যানসার সবচেয়ে বেশি হানা দিচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছে, এই ধরনের ক্যানসারের অন্যতম নেপথ্য কারণ হল, আধুনিক জীবনযাপন। তেলঝাল-মশলাদার খাবার খাওয়া, মদ্যপান, ধূমপান মলাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের ফুটবল তারকা পেলেও কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত হন। এই ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করা নিঃসন্দেহে কঠিন। যত দ্রুত রোগ ধরা পড়ে, চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ তত সহজ হয়। তাই আগে থেকে কোলন ক্যানসারের লক্ষণগুলি চিনে রাখা জরুরি।
১) দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা দীর্ঘ দিনের ডায়রিয়ার সমস্যা— এই দুটিই কোলন ক্যানসারের ইঙ্গিত হতে পারে। সাবধান হওয়া জরুরি।
২) এই ক্যানসার হলে অসহ্য পেটে ব্যথা হয়। সঙ্গে রক্তাল্পতার সমস্যাও হানা দিতে পারে।
৩) আকস্মিক ওজন কমে যেতে থাকলেও সতর্ক থাকতে হবে। কোলন ক্যানসারের ক্ষেত্রে এমন উপসর্গ দেখা দেয়।
৪) মলের সঙ্গে রক্তপাত হলে তা কখনও অবহেলা করবেন না। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মলাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত।
এই রোগ এড়ানোর উপায় কী?
চিকিৎসকদের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত শরীরচর্চা, মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ, পাঁঠার মাংস খাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ, ঠিক সময় অন্যান্য ক্রনিক অসুখের চিকিৎসা, এ সব মূল শারীরিক নিয়মনীতি মেনে চললেই এই অসুখের আশঙ্কা কমিয়ে আনা যায় অনেকটা। রোজকার খাবারে পর্যাপ্ত টাটকা ফলমূল, শাকসব্জি, ওট্সের মতো খাবার থাকা দরকার। শস্যদানা ও পর্যাপ্ত ফাইবার যুক্ত খাবারও বেশি করে খেতে হবে।