ওজন ঝরাতে প্রোটিন খান বুঝেশুনে। ছবি: শাটারস্টক।
প্রোটিন শরীরের একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। শরীরের যত্ন নিতে, রক্তে শর্করার ভারসাম্য ঠিক রাখতে, ইস্ট্রোজেন হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখতে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের প্রয়োজন। প্রোটিনের অভাব বাড়াবাড়ি রকমের শারীরিক অসুস্থতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। পেশি শক্তিশালী করতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রোটিনের। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও প্রোটিন সমান ভাবে জরুরি। যাঁরা ওজন কমিয়ে রোগা হতে চাইছেন প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা প্রয়োজন। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরতি রাখতে সাহায্য করে। টিন জাতীয় খাবার খেলে বারবার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও দূর হয়।
শরীরে প্রোটিন জমা থাকতে পারে না, তাই শরীর চাঙ্গা রাখতে নিয়ম করে প্রোটিন খাওয়া ভীষণ জরুরি। তবে কোন প্রোটিন খাবেন আর কোন প্রোটিন খাবেন না, সেই ফারাকটা বোঝা ভীষণ দরকার। ভাল প্রোটিন অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ হয়। এই প্রকার প্রোটিন সহজে হজম হয়। শরীর খুব তাড়াতাড়ি শোষণ করে নিতে পারে এই প্রোটিন। হাঁস-মুরগির মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত খাবার, লেবু এবং বাদাম হল ভাল প্রোটিনের উৎস।
শরীরে প্রোটিন জমা থাকতে পারে না, তাই শরীর চাঙ্গা রাখতে নিয়ম করে প্রোটিন খাওয়া ভীষণ জরুরি।
অন্যদিকে, খারাপ প্রোটিন হল প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং অন্যান্য প্রোটিন উত্স যাতে উচ্চ মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। ডায়েটে এই প্রকার প্রোটিন খুব বেশি রাখা মোটেও ভাল নয়। এই প্রকার প্রোটিন বেশি মাত্রায় খেলে হার্টের সমস্যা, কিডনির সমস্যা এবং অন্যান্য আরও সমস্যা হতে পারে। সসেজ, বেকন, ফ্রায়েড চিকেনও প্রোটিনের উৎস তবে এই প্রোটিন খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। এই প্রকার প্রক্রিয়াজাত খাবারে উচ্চ মাত্রায় নুন থাকে, যা শরীরের বেশি ক্ষতি করে। এই সবের বদলে পুষ্টিবিদেরা তাই বেশি করে ডাল, পনির, মুরগির মাংস, দই, মাছ, ডিম, বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।