সকালে উঠবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিন পরিশ্রমের পর রাত হলেই মন চলে যায় মোবাইলের পর্দায়। সমাজমাধ্যম, ওয়েব সিরিজ়, নেটদুনিয়ার আকর্ষণ তো কম কিছু নয়। আর তাতে মন ডুবলেই, ঘুম আসতে আসতে ভোর হয়ে যায়।
ভোর ওঠা তাই কঠিন ব্যাপার হয়ে ওঠে অনেকের কাছেই। কিন্তু, ভোরের ওঠার উপকারিতা তো কম নয়!
মনোরোগ চিকিৎসক শর্মিলা সরকার বলছেন, ‘‘আমাদের শরীরের একটি নিজস্ব ঘড়ি থাকে। যা অন্ধকার ও আলোর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে চলে। সেই ঘড়ির সঙ্গে তাল-মিলের অভাব হলে শরীর খারাপ হতে পারে বা শরীরে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’’
চিকিৎসকের কথায়, যেমন সূর্যাস্তের পর থেকে অন্ধকার যত ঘন হতে থাকে, শরীরে ততই মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। এই হরমোনটি ঘুম আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সে কারণে যদি কেউ মোবাইল, ল্যাপটপ নিয়ে রাতে বসে থাকেন, চট করে ঘুম আসবে না। যন্ত্রের পর্দা থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিনের নিঃসরণের উপর প্রভাব ফেলে। ঘুম আসতে চায় না।’’
কিন্তু সকালের আলো-হাওয়া, প্রকৃতির সান্নিধ্য। তা কি দিনের অন্য সময় মিলবে? কিছু উপকার সত্যিই ভোর ছাড়া পাওয়া যায় না।
১. সকালের আলো-হাওয়া
সকালের আলো ও হাওয়া গায়ে লাগলে মন এমনিই ভাল হয়ে যায়। এই সময় হালকা নরম রোদ্দুর আর ঠান্ডা হাওয়া বেশ আরামদায়ক থাকে। যা দিনের অন্য সময়ে চট করে পাওয়া যায় না। ভিটামিন ডি সংশ্লেষেও গায়ে এই রোদ লাগা জরুরি।
২. প্রকৃতি
প্রকৃতির সান্নিধ্য মনে প্রভাব ফেলে। শর্মিলা বলছেন, ‘‘ঠান্ডা হাওয়ায় হাঁটতে ভাল লাগে। বেশি ক্ষণ হাঁটাও যায়। কিন্তু রোদ চড়ে গেলে হাঁটাহাঁটি করতে কষ্ট হয়।’’
৩. মানুষজনের সান্নিধ্য
সকালের উন্মুক্ত প্রকৃতি যেমন মনোজগতে প্রভাব ফেলে, তেমনই প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে অনেক মানুষজনের সঙ্গেও দেখা হয়। চেনা মানুষজন, আলাপচারিতায় দিনটা সুন্দর ভাবে শুরু হতে পারে।
৪. প্রাণায়াম
সকালে উঠে শরীরচর্চা এবং প্রাণায়ামের অভ্যাসে শুধু শরীর নয়, মনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রাণায়ম ছাড়া যোগাভ্যাসে রোগব্যাধিও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ব্যায়ামের জন্য এই সময়টাকেই আদর্শ হিসাবে বিবেচনা করেন যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষকেরা।
৫. সকালের খাবার
দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার জন্য অনেকেই সকালের জলখাবার খাওয়ার সময় পান না। অথচ সকালের খাবার খাওয়া জরুরি। ভোরে উঠলে খাওয়াতেও ছেদ পড়ে না।