ডায়াবিটিস রোগীর সঙ্গে রক্তদানের কিন্তু কোনও সম্পর্ক নেই। ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবিটিস আক্রান্ত রোগীরা রক্তদান করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে অনেকেরই স্বচ্ছ ধারণা নেই। তবে ডায়াবিটিস আক্রান্তদের অনেকেই মনে করেন যে, শারীরিক এই পরিস্থিতিতে রক্তদান এড়িয়ে চলাই বোধ হয় বাঞ্ছনীয়। সত্যিই কি তাই? আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টি স্পষ্ট করলেন ডায়াবেটোলজিস্ট অসিতবরণ সাহা।
চিকিৎসক অসিতবরণ বলেন, ''ডায়াবিটিস রোগীর সঙ্গে রক্তদানের কিন্তু কোনও সম্পর্ক নেই। ডায়াবিটিস হয় শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গেলে। রক্তের প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ যদি কম হয়, সেটাই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার এক মাত্র কারণ। যেটিকে আমরা টাইপ টু ডায়াবিটিস বলে থাকি। এর সঙ্গে তো আলাদা করে রক্তদানের কোনও দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। তবে কেউ যদি দীর্ঘদিন ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগে থাকেন, ডায়াবিটিসের কারণে যদি চোখ, রক্তজালিকা বা কিডনিতে কোনও প্রভাব পড়ে থাকে সে ক্ষেত্রে রক্তদান না করাই শ্রেয়। এ ছাড়া ডায়াবিটিস থাকলে রক্তদান করার বাড়তি কোনও স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই।"
রক্তদানের আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
চিকিৎসকের পরামর্শ
বাড়তি সুরক্ষাবিধি বজায় রাখতে ডায়াবিটিস আক্রান্তরা রক্তদানের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন-
১) রক্তদানের আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া জরুরি।
২) রক্ত দিতে যাওয়ার আগে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে তবেই যান।
৩) রক্তদানের আগে পর্যাপ্ত জল পান করে নেওয়া প্রয়োজন।
রক্তদানের পর যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন-
১) রক্তে শর্করার মাত্রা কিছু ক্ষণ অন্তর মাপতে থাকুন।
২) সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খান
৩) রক্তদানের পর বেশ কিছু সপ্তাহ আয়রনযুক্ত খাবার বেশি করে খান। আয়রন সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন।
৪) রক্তদানের পর যদি শারীরিক অসুস্থতা বোধ করেন, তা হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
তবে, শুধু ডায়াবিটিস রোগী নন, যে কোনও রক্তদাতারই উপরের প্রত্যেকটি নিয়ম মেনে চলা উচিত।