টাইপ ২ ডায়াবিটিস আছে এমন রোগীরা ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি রোগে আক্রান্ত হন। ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবিটিস আছে এমন রোগীদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রায়শই দেখা যায়। শুধু তাই নয়, তলপেটে যন্ত্রণা, অ্যাসিডিটি, পেট ফোলা, পেট ফাঁপা, কখনও কখনও আবার রক্তপাতের সমস্যাতেও ভুগতে হতে পারে ডায়াবেটিক রোগীকে।
এমনটা কেন হয়?
দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস রোগে ভুগলে স্নায়ুতন্ত্রের উপর ব্যপক প্রভাব পড়ে। টাইপ ২ ডায়াবিটিস আছে এমন রোগীরা ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি রোগে আক্রান্ত হন। এ ক্ষেত্রে শরীরের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে যে স্নায়ুগুলি, তার কার্যকারিতা হ্রাস পায়। হজমে সাহায্যে করে যে স্নায়ুগুলি, তাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে রোগীরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। দীর্ঘ দিন ধরে এই রোগে ভুগলে স্নায়ুগুলি শুকিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়ে।
প্রতীকী ছবি
তা ছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের মরামর্শে ডায়াবেটিক রোগীরা একাধিক ওষুধ খান। অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে ইনসুলিনও নিতে হতে পারে। সে সব ওষুধ থেকেও কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
কী করলে মুক্তি পাবেন?
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে দিনে তিন-চার লিটার জলপান করা উচিত। রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন ফাইবার যুক্ত শাকসব্জি। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তাঁরা নিয়ম করে দু’বেলা ঢ্যাঁড়শ খেলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। মধ্যাহ্নভোজনে বিভিন্ন রকম শাক রাখতে ভুলবেন না। এ ছাড়া নিয়মিত খই, ওটসও খেতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করুন। যোগাসন ডায়াবিটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করবে।