ডায়াবিটিসে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলেই ঝুঁকি বাড়বে। ছবি: সংগৃহীত।
মানসিক অবসাদের সঙ্গে কি ডায়াবিটিসের আদৌ কোনও যোগ রয়েছে? আছে। চিকিৎসকদের মতে, কোনও ব্যক্তি যদি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হন, তা হলে যেমন তাঁর মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, ঠিক তেমনই কোনও ব্যক্তি মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হলে তাঁর ডায়াবিটিস হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে।
কোনও ডায়াবেটিক রোগী যদি হতাশা বা উদ্বেগে ভোগেন, তখন তাঁর শরীরে যে সব হরমোনের ক্ষরণ হয়, তা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। দেখে নিন, কী ভাবে একটি রোগ ডেকে আনতে পারে আর একটিকে।
১) ডায়াবিটিস রোগ এক বার শরীরে বাসা বাঁধলে তার হাত ধরে একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। ফলে রোগীর মনে ঢুকে যেতে পারে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা দুশ্চিন্তা। এই দুশ্চিন্তা থেকে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
মানসিক চাপ ও মানসিক অবসাদের মতো সমস্যা শরীরে হরমোন ক্ষরণকে প্রভাবিত করে। ছবি: সংগৃহীত।
২) ডায়াবিটিসের কবলে পড়লে খাদ্যাভ্যাসে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে বাধ্য হন রোগী। কেউ যদি খেতে খুব ভালবাসেন আর হঠাৎ চিকিৎসক তাঁর পছন্দের সব খাবারেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, সেই আকস্মিক পরিবর্তন মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে।
৩) মানসিক চাপ ও মানসিক অবসাদের মতো সমস্যা শরীরে হরমোন ক্ষরণকে প্রভাবিত করে। হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে তা ডায়াবিটিস রোগীদের পক্ষে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
৪) মানসিক অবসাদের ফলে দৈনন্দিন জীবনে একাধিক পরিবর্তন আসতে পারে। অনেকেই মানসিক অবসাদে ভুগলে অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান শুরু করেন। এই অভ্যাসগুলি ছাড়াও দেখা দিতে পারে শরীরচর্চায় অনীহা কিংবা খাদ্যাভ্যাসের অনিয়ম। এই সব কাজ কিন্তু ডায়াবিটিসের রোগীদের পক্ষে মোটেও ভাল নয়। এই অভ্যাসগুলি ডায়াবিটিসের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।