Aindrila Sharma

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ঐন্দ্রিলা শর্মা! কেমোর কারণেই এই পরিস্থিতি? কী বলছেন চিকিৎসক

তবে কি ক্যানসারের কারণেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হলেন অভিনেত্রী? একাধিক বার কেমো নেওয়াই কি এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২২ ১১:০২
Share:

অবস্থা স্থিতিশীল নয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার, দেওয়া হয়েছে ‘সিপিআর’ এ, হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই খবর। ছবি: ফাইল চিত্র

আরও সঙ্কটজনক অবস্থা অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার। স্ট্রোকের পর এ বার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত অভিনেত্রী। বুধবার সকালে হাসপাতাল সূত্রে খবর এমনটাই। এক বার নয়, হার্ট অ্যাটাকের একাধিক ‘এপিসোড’ দেখা গিয়েছে। অবস্থা স্থিতিশীল নয়। দেওয়া হয়েছে ‘সিপিআর’।

Advertisement

২০১৫ সালে অভিনেত্রীর অস্থিমজ্জায় ক্যানসার ধরা পড়ে। দিল্লিতে শুরু হয় চিকিৎসা। চলে একের পর এক কেমোথেরাপি। ২০১৬ সালে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ঐন্দ্রিলা। ফের ২০২১ সালে অভিনেত্রীর ডান দিকের ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়ে। আবার চলে কেমোথেরাপির পালা। ফের নরকযন্ত্রণার মুখোমুখি হন বছর ২৪ এর অভিনেত্রী। আবারও মারণরোগের সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ে জয়ী হন ঐন্দ্রিলা। বছর গড়াতেই স্ট্রোকের কবলে আক্রান্ত হন তিনি! শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হতে থাকে যত দিন গড়ায়। স্ট্রোক হওয়ার সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় একাধিক বার হার্ট অ্যাটাক।

তবে কি ক্যানসারের কারণেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হলেন অভিনেত্রী? একাধিক বার কেমো নেওয়াই কি তাঁর বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী?

Advertisement

মেডিক্যাল হিমাটো অনকোলজিস্ট সুদীপ দাস বললেন, কেমো থেকে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, তাকে মূলত দু’ ভাগে ভাগ করা যায়। কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেমো নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা থেকে ১০ দিনের মাথায় দেখা যায়, আবার কিছু উপসর্গ ছ’ মাস থেকে এক বছরের পর মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বেশির ভাগ কেমোথেরাপির পর প্রাথমিক পর্যায়ে বমি বমি ভাব, খিদে কমে যাওয়া, দুর্বলতা, মাথার চুল উঠে যাওয়া, মুখে ঘা হওয়া, ডায়েরিয়া, রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দেখা যায়। তবে কেমোর ওষুধগুলির মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে তিন মাস, ছ’ মাস বা এক বছর পরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে রোগীর শরীরে। তবে ঐন্দ্রিলার ক্ষেত্রে কেমোর জন্যই তা হয়েছে কি না, সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ।’’

কেমোর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের ফলে হার্টের পেশিগুলি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।

কেমোর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের ফলে হার্টের পেশিগুলি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। অ্যারিদমিয়া বা হৃদ‌্স্পন্দনের হার কমে অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে। এমনকি, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায় বিশেষ কিছু কেমোর ওষুধ ব্যবহারের ফলে।

কিন্তু ঐন্দ্রিলার ক্ষেত্রে তেমন কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না, তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। গোটা টলিউডই তাঁর আরোগ্যকামনা করছে। সকলের বিশ্বাস, ফিনিক্সের মতোই ঐন্দ্রিলা সুস্থ হয়ে ফিরবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement