গবেষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হৃদ্রোগ এবং স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ মানুষ মারা যান। ছবি: শাটারস্টক।
সম্প্রতি ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয় প্রতিদিন দ্রুত গতিতে ১১ মিনিট হাঁটলেই অকালমৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশে ঠেকিয়ে রাখা যায়।
যে কোনও মাঝারি-তীব্র শারীরিক কার্যকলাপ প্রতি দিন অন্তত ১১ মিনিট কিংবা প্রতি সপ্তাহে সময় বার করে ৭৫ মিনিট করতে পারলেই হৃদ্রোগ, স্ট্রোক এবং ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে— এমনটাই জানা গিয়েছে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা সেই গবেষণায়।
মাঝারি থেকে তীব্র গতির শরীরচর্চা এক জনের হৃদ্স্পন্দন বাড়িয়ে তোলে এবং দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সাহায্য করে। সহজ কিছু শরীরচর্চা বেছে নিলেই মৃত্যু ঝুঁকি এড়ানো যায়। মাঝারি ও তীব্র গতির শরীরচর্চাগুলির মধ্যে দ্রুত হাঁটা, সাইকেল চালানো, হাইকিং, নাচ এবং টেনিস বা ব্যাডমিন্টনের মতো খেলাও প্রতিদিনের রুটিনে সংযোজন করতে পারেন।
গবেষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হৃদ্রোগ এবং স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালে ১৭.৯ মিলিয়ান (১ কোটি ৭৯ লক্ষ) মানুষ মারা যান। ২০১৭ সালে প্রায় ৯.৬ মিলিয়ান (৯৬ লক্ষ) মানুষ ক্যানসারে প্রাণ হারিয়েছেন। গবেষকদের দাবি, সপ্তাহে ৭৫ মিনিট মাঝারি থেকে তীব্র গতির শরীরচর্চা অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৩ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে। গবেষকদের দাবি, সপ্তাহে ১৫০ মিনিট শরীরচর্চা করতে পারলে আরও ভাল ফলাফল প্রত্যাশিত। প্রথমে সপ্তাহে ৭৫ মিনিট করে শুরু করলেই হবে, তার পর আপনা থেকেই ধীরে ধীরে সময় বাড়ানোর তাগিদ আসবে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।
দিনে ১১ মিনিট দ্রুত গতিতে হাঁটলেই কমবে হৃদ্রোগ, ক্যানসারের ঝুঁকি। ছবি: শাটারস্টক।
সপ্তাহে ৭৫ মিনিট শরীরচর্চা করে হার্টের রোগের ঝুঁকি ১৭ শতাংশ কমে এবং ক্যানসারের মতো মারণরোগের ঝুঁকি কমে ৭ শতাংশ । এই প্রকার শরীরচর্চা ঘাড় ও গলার ক্যানসার, গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার, কার্ডিয়াক ক্যানসার, লিউকিমিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি প্রায় ১৪ থেকে ২৬ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে।