ওজন কমাতে হলে প্রাতরাশে অবশ্যই রাখুন এই ৫ খাবার। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন ঝরাতে কোন খাবার খাবেন, আর কোনটি খাবেন না— সেটাই বুঝে উঠতে পারেন না কেউ কেউ। শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে প্রাতরাশের। অনেকেই নানা কারণে ঘুম থেকে ওঠার পর দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকেন। কেউ কেউ আবার না খেয়েই কাজে বেরিয়ে পড়েন। এতে কিন্তু শরীরের মারত্মক ক্ষতি হতে পারে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রাতরাশের ভূমিকা অনেকখানি। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ আমরা প্রাতরাশ থেকেই পেয়ে থাকি। ওজন ঝরাতে চাইলেও প্রাতরাশে ফাঁকি দিলে চলবে না। মেদ ঝরাতে চাইলে প্রাতরাশে কী কী রাখতে পারেন, রইল হদিস।
ডিম: এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। পোচ, অমলেট হোক বা সেদ্ধ— যে কোনও ভাবেই খাওয়া যায় ডিম। প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাবে শরীর।
ওট্স: প্রাতরাশের তালিকায় রাখতেই পারেন ওট্স। টক দই বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ওট্স খান। ওট্সের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের মরসুমি ফল। সব রকম সব্জি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ওট্সের খিচুড়িও। ওট্সে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। পরিমিত মাত্রায় ওট্স খেলে ওজন বাড়ে না। সব বয়সের সব মানুষ খেতে পারেন ওট্স।
অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ: রাতে এক মুঠো ছোলা, মটর, বাদাম, মুগ ভিজিয়ে রাখুন একটি বাটিতে। পরদিন সকালে তা দিয়ে বানিয়ে নিন স্যালাড। এই খাবার পুষ্টিগুণে ভরপুর।
চিলা: মুগ ডাল বাটা কিংবা বেসনের সঙ্গে সব রকম সব্জি মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন চিলা। এই খাবারটি খেলে বেশ অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে। ভাল মাত্রায় প্রোটিনও যায় শরীরে।
প্রাতরাশে বানিয়ে নিতে পারেন চিঁড়ের পোলাও। ছবি: সংগৃহীত।
চিঁড়ের পোলাও: প্রাতরাশে বানিয়ে নিতে পারেন এই পদ। স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে চিঁড়ের জুড়ি মেলা ভার। চিঁড়ে এমনিতেই দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ফলে ঘন ঘন খিদেও পায় না। আবার বানানোও সহজ। গাজর, বিন্স, কারি পাতা, টোম্যোটো, মটরশুঁটি দিয়ে চিঁড়ের পোলাও রাঁধলে সে স্বাদ লেগে থাকবে মুখে।