ফিট থাকতে রোজ খেতেই হবে কোন শুকনো ফল? ছবি: সংগৃহীত।
মরসুমভেদে শরীর সুস্থ রাখার পদ্ধতি এবং খাবারগুলি বদলে যায়। কিন্তু খেজুর এমন একটি খাবার, শরীরের যত্ন নিতে যার উপর সারা বছর ভরসা রাখা যায়। তবে অনেকেরই ধারণা, শীতে খেজুর খেলে যতটা উপকার পাওয়া যায়, গরমে ততটা নয়। সেই কারণে অনেকে গরম পড়তেই খেজুর খাওয়া বন্ধ করে দেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, গ্রীষ্মের সঙ্গে খেজুরের কোনও বিরোধ নেই। তবে খেজুর খাওয়ার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কারণ, খেজুরে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে একসঙ্গে বেশি খেজুর খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই খেজুরের পরিমাণের উপর নজর রাখা জরুরি। জেনে নিন, রোজকার ডায়েটে কেন রাখবেন খেজুর।
১) রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে খেজুর বেশ উপকারী। কাজেই যাঁদের রক্তে হিমগ্লোবিনের মাত্রা কম রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। খেজুর খেলে রক্তাল্পতার রোগীদের শারীরিক শক্তিও বাড়বে। ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পর অনেক মহিলাই রক্তাল্পতায় ভোগেন। তাঁদের ডায়েটেও খেজুর রাখা জরুরি।
২) খেজুর শরীরে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে, যার ফলে রাতে ভাল ঘুম হয়। তাই মানসিক চাপে অনিদ্রাজনিত সমস্যা এড়াতে রোজ খেজুর খেতে পারেন।
৩) বসন্ত মানেই ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। সংক্রমণ ঠেকাতেও ডায়েটে রাখতে পারেন খেজুর। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে খেজুর দারুণ উপকারী। যাঁদের অ্যালার্জির ধাত রয়েছে, তাঁরাও খেজুর খেলে উপকার পাবেন।
সংক্রমণ ঠেকাতে ডায়েটে রাখতে পারেন খেজুর। ছবি: সংগৃহীত।
৪) চটজলদি ওজন ঝরাতে যাঁরা জিমে যাওয়া শুরু করেছেন, তাঁরাও ডায়েটে খেজুর রাখতে পারেন। পরিমিত মাত্রায় খেজুর খেলে ওজন বাড়ে না। তাই শরীরচর্চার আগে চাঙ্গা হতে ও শরীরচর্চার পর ক্লান্তি কাটাতে খেতেই পারেন খেজুর।
৫) খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার থাকায় বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কম হয়। পেটের সমস্যা থাকলে নিয়মিত খেজুর রাখুন ডায়েটে।
কী ভাবে খাবেন?
দিনের যে কোনও সময়ে খেজুর খাওয়া গেলেও সকালে ভিজিয়ে রাখা খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভাল।