প্রাণ যায় যাক, ফোটো তোলা চাই-ই চাই। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের আগে বিভিন্ন কায়দায় বর-কনের ফোটোশুট এখন ‘ট্রেন্ডিং’। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে হবু বর-কনেরা পেশাদার ফোটোগ্রাফার দিয়ে প্রি ওয়েডিং ফোটোশুট করিয়ে থাকেন। কখনও বাড়ির আশপাশেই কোথাও, কখনও আবার শহরের বাইরে গিয়েও চলে ফোটোশুট। দিল্লির এক হবু বর-কনে এমনই প্রি ওয়েডিং ফোটোশুট করাতে গিয়ে প্রাণ হারাতে বসেছিলেন। দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ডের হৃষীকেশে গিয়ে গঙ্গার ধারে প্রাক-বিবাহ ফোটোশুট করতে গিয়েই যুগলের সঙ্গে ঘটল বিপত্তি। খরস্রোতা গঙ্গায় প্রায় ডুবেই যাচ্ছিলেন যুবক, শেষমেশ স্টেট ডিজ়াস্টার রেসপন্স ফান্ড (এসডিআরএফ) দলের সদস্যদের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল যুগলের।
মানস খেদা ও অঞ্জলি আনেজা হৃষীকেশের কাছে বেয়াসিতে গঙ্গায় নেমে প্রি ওয়েডিং ফোটোশুট করাচ্ছিলেন। গঙ্গার জল হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায়, মাঝগঙ্গায় আটকে পড়েন যুগল। গঙ্গা থেকে বেরিয়ে আসতে গিয়ে মানসের পা পিছলে যায়, জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। মানস ও অঞ্জনা দু’জনেই জলের ভিতরে আটকে পড়েন। ডুবন্ত যুগলকে দেখে স্থানীয়রা বেয়াসি পুলিশ চেকপোস্টে খবর দেন। এসডিআরএফ-এর দল এসে যুগলকে উদ্ধার করে। মানসের অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক দেখে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রি ওয়েডিং ফোটোশুট করতে কেউ কেউ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতেও প্রস্তুত। কখনও পাহাড়, কখনও সমুদ্রতটে, কখনও আবার নৌকায় চড়ে তরুণ-তরুণীরা ছবি তোলেন। সমাজমাধ্যমে সে সব ছবি শেয়ার করে বিয়ের দিন ঘোষণা করেন হবু বর-কনেরা। ইদানীং সমাজমাধ্যমে নজর কাড়তে গিয়ে প্রাঁণের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলছেন যুগলেরা।