ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখনও নিয়মিত প্রচুর পরিশ্রম করেন রিচা। ছবি: সংগৃহীত।
বলিপা়ড়ায় যখন পা দিয়েছিলেন, তখন তাঁকে বলা হয়েছিল ওজন বাড়াতে হবে। সে কথা শুনে তিনি যখন ওজন বাড়ালেন, বলা হল শরীরের বিশেষ কয়েকটি জায়গায় মেদ বাড়াতে। কেরিয়ারের শুরুতেই চেহারা নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ শুনতে হয়েছিল রিচা চড্ডাকে। বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে বহু বার সে কথা জানিয়েছেন তিনি।
গত বছরই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন রিচা। বিয়ের আগে একেবারে নতুন অবতারে ধরা দিয়েছিলেন। তিন মাসে এক ধাক্কায় কমিয়েছিলেন ১৫ কেজি ওজন। রোগা হওয়ার জন্য কম পরিশ্রম করেননি তিনি। লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পরেও কিন্তু পরিশ্রম থামিয়ে দেননি। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখনও নিয়মিত প্রচুর পরিশ্রম করেন রিচা।
রোগা থাকতে শরীরচর্চার দিকে বেশি নজর দেন অভিনেত্রী। সারা দিনে কতটা সময় ধরে শরীরচর্চা করছেন, ওজন কমাতে সেটা অত্যন্ত জরুরি। তবে রিচা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত শরীরচর্চা ওজন কমানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কতটা শরীরচর্চা করবেন, ফিটনেস প্রশিক্ষকের কাছ থেকে তা জেনে নেওয়া জরুরি।
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের রাখার আরও একটি উপায় হল, পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। ডায়েটে কী ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি, তা নিজে ঠিক করার চেয়ে খুব ভাল হয় যদি কোনও পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া যায়। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনেই খাওয়াদাওয়া করেন রিচা।
বিয়ের আগে একেবারে নতুন অবতারে ধরা দিয়েছিলেন। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু কি শরীরচর্চা আর নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করাই রোগা হওয়ার একমাত্র উপায়? অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তা একেবারেই নয়। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামও কিন্তু রোগা হওয়ার একটি ধাপ। শত কাজের মধ্যেও অল্প সময়ের জন্য হলেও বিশ্রাম নিতে ভোলেন না তিনি। রিচার পরামর্শ, খেয়াল-খুশি মতো ওজন কমাতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। শুধু শরীরে নয়, চাপ পড়তে পারে মনের উপরেও। হঠাৎ কোনও সিদ্ধান্ত তাই নেওয়াই ভাল।