অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অভিনেতাদের মধ্যে ফিটনেস নিয়ে সবচেয়ে সচেতন যদি কেউ থাকেন, তা হলে তিনি হলেন ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমার। তিনি নিজে যেমন ফিট, তেমনই তাঁর অনুরাগীদেরও ফিট থাকার পরামর্শ দেন সর্বক্ষণ। ২০২৩ সালের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রেডিয়ো অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ অক্ষয় দেশবাসীকে বলেন, ‘‘অভিনেতাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জীবনযাপনে ‘ফিল্টার’ না এনে বরং ফিট থাকার চেষ্টা করুন।’’
৫৬ বছর বয়সি অভিনেতা প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অক্ষয় বলেন, ‘‘আপনারা সকলেই জানেন যে, আমি ফিটনেস সম্পর্কে কতটা উৎসাহী, তবে আমি স্বাভাবিক উপায়ে ফিট থাকতে বেশি পছন্দ করি। অর্থাৎ জিমে যাওয়ার বদলে আমি সাঁতার কাটা, ব্যাডমিন্টন খেলা, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া— এ সব পন্থায় বেশি বিশ্বাসী। অভিনেতাদের বডি দেখে নয়, চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনুন। বড় পর্দায় আপনারা যে অভিনেতাদের শরীর দেখে আপ্লুত হন, সব সময় কিন্তু সেই শরীর আসল হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই হরেক রকম ফিল্টার ও বিশেষ এফেক্ট ব্যবহার করা হয়। অথচ সেই সুঠাম শরীর দেখে আমরা ওজন ঝরানোর জন্য চটজলদি পন্থার উপর নির্ভর করি, যা আদৌ স্বাস্থ্যকর নয়।’’
ওজন ঝরানোর জন্য চটজলদি অস্বাস্থ্যকর পন্থার বিষয়ে অক্ষয় শ্রোতাদের সতর্ক করেছেন। অভিনেতা বলেন, ‘‘এখন অনেকেই সিক্স প্যাক ও এইট প্যাক তৈরি করতে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করেন। এই সব ‘শর্টকাট’ পন্থা নিলে আপনার শরীর বাইরে থেকে ফোলা দেখালেও ভিতর থেকে কিন্তু একেবারে ফাঁপা হয়ে যাবে। চটজলদি ওজন ঝরাতে গিয়ে আস্বাস্থ্যকর পন্থাগুলি অনুসরণ করলে আপনার আয়ু কমে যাবে। যেমন আমি মনে করি, পরিমিত মাত্রায় খাঁটি ঘি খাওয়া কিন্তু স্বাস্থ্যকর। তবে তরুণ-তরুণীরা মনে করেন, ঘি খেলেই মোটা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমাদের ফিটনেসের জন্য কী ভাল আর কোনটা খারাপ, সে বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকা কিন্তু ভীষণ জরুরি।’’ ফিট থাকতে কী পরামর্শ দিলেন অভিনেতা? অক্ষয় বললেন, ‘‘দু'মিনিটের নুড্লের মতো শর্টকাট নিলে চলবে না। নতুন বছরে ফিট থাকতে হলে জীবন থেকে রাসায়নিক সামগ্রী দূর করুন, নিয়ম করে শরীরচর্চা, যোগাসন করুন। সময় মতো ঘুমোনো, সময় মতো ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।’’