বর্ষাকালে দুধ না ফুটিয়ে খাওয়াই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
বৃষ্টিতে কাকস্নান করে বাড়ি ফিরেছেন। ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ে এক কাপ দুধ অভেনে হালকা গরম করে খেয়ে ফেললেন। তৎক্ষণাৎ ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে মুক্তি দিলেও পেটের রোগ কিন্তু বাড়িয়ে তুলতে পারে পুষ্টিকর এই পানীয়টিই। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা দুধ খেতে ভাল লাগলেও বর্ষাকালে দুধ না ফুটিয়ে খাওয়া যাবে না কোনও মতেই। এ সময়ে এমনিতেই পেটের নানা রকম সমস্যা হয়। অন্য দিকে, উষ্ণ গরম দুধ খেলে হজমেরও সমস্যা হয় না। দুধের পুষ্টিগুণ শরীর ভাল ভাবে শোষণ করতে পারে। তবে দুধ যেমন, তেমন ভাবে ফোটালে কিন্তু হবে না।
কী ভাবে ফোটালে দুধের পুষ্টিগুণ বাড়বে?
পুষ্টিবিদ এবং প্রভাবী নিকিতা কোহলি বলছেন, ৫০০ মিলিলিটার দুধের সঙ্গে আধ কাপ জল মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। দুধের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই দুধ। এ ছাড়াও, বৃষ্টিতে ভিজে সর্দিকাশি, ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা দূর করতে দুধে এক চিমটে হলুদ, দারচিনি, আদা বা ছোট এলাচ দিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এই মশলাগুলি দুধে শুধু স্বাদ বা গন্ধ নয়, তার গুণও বাড়িয়ে তোলে।
পেটের গোলমাল রুখতে কোন সময়ে দুধ খাবেন?
রাতে ঘুমোনোর আগে উষ্ণ দুধ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। তবে বর্ষাকালে পেটের রোগের প্রকোপ এড়াতে গেলে দুধ খেতে হবে সকালে জলখাবার খাওয়ার সময়ে। তবে সকালে যদি খুব ভারী, তেলমশলা যুক্ত কোনও খাবার থাকে, সে ক্ষেত্রে কিন্তু দুধ খাওয়া যাবে না।