ডায়াবেটিক দাদার কথা ভেবে কী কী রাঁধতে পারেন ভাইফোঁটায়? ছবি: সংগৃহীত।
ভাইফোঁটার দিন পঞ্চব্যঞ্জন না রাঁধলে কি চলে? সাধ করে অনেক পদ তৈরি করবেন, অথচ দাদা কিছুই খেতে না পারলে তো মুশকিল! এখন ঘরে ঘরে ডায়াবিটিসের রোগী। আর ডায়াবিটিস মানেই খাবারে নানা রকম বিধিনিষেধ। আপনার ভাই কিংবা দাদা যদি ডায়াবেটিক হন, তা হলে তো তাঁর জন্য সাধারণ পদ রাঁধলে চলবে না। এমন কিছু রাঁধতে হবে, যা খেলে তাঁর শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না অথচ ভূরিভোজও হবে। ভাবছেন, এমন কী রাঁধা যায়? পুষ্টিবিদ পম্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন দাদার শরীরের খেয়াল রেখেও কী ভাবে উদ্যাপন করা যায় দিনটি। পম্পিতা বললেন, ‘‘ডায়াবিটিস থাকলে ভাইফোঁটার দিন সাধ হলেও দাদা কিংবা ভাইকে মিষ্টি দেওয়া যাবে না। অনেকেই মনে করেন, সুগার ফ্রি দিয়ে তৈরি পায়েস কিংবা মিষ্টি বানিয়ে ভাইকে দেবেন, তবে তাঁর শরীরের কথা ভেবে এই কাজ না করাই ভাল। ডায়াবিটিস যদি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে, তা হলে অল্প গুড় ব্যবহার করে বাড়িতে মিষ্টি তৈরি করে দিতে পারেন। মিষ্টিতে খেজুর কিংবা কোনও ধরনের ড্রাই ফ্রুটস ব্যবহার করবেন না। ভাইকে কোনও ধরনের ভাজাভুজি পরিবেশন করবেন না। ভোজের থালায় অবশ্যই বেশি করে স্যালাড রাখবেন। রান্নায় চিনি ব্যবহার করবেন না।’’
ডায়াবেটিক ভাইদের জন্য কী কী খাবার বানাতে পারেন, রইল সেই হদিস।
ভাইফোঁটার দিন পঞ্চব্যঞ্জন না রাঁধলে কি চলে? ছবি: সংগৃহীত।
প্রথমেই ভাইকে দিতে পারেন ডাবের শরবত। দুপুরে খাবার পাতে ৩০ গ্রাম চালের ভাত, ২টি তাওয়া ভেটকি, সঙ্গে বেশি করে স্যালাড। ভাতের সঙ্গে মুগের ডাল, ভেটকি পাতুরি, চিংড়ির ঝাল, সর্ষে পাবদার মতো মাছের পদ রাখতে পারেন। ভাই মটন খেতে পছন্দ করলে বানাতে পারেন মটন কষা আর না হলে চিকেনের কোনও পদ। তবে ২টি পিসের বেশি নয়। শেষপাতে গুড়ের পায়েস রাখতে পারেন। তবে ভাইয়ের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে চাটনি-পাঁপড় এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।