খালি পেটে মদ্যপান নয়! প্রতীকী ছবি।
কোনও ভাল খবর, তা ঘিরে আনন্দ কিংবা উৎসবের মরসুম— এমন ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে মদ্যপান করে থাকেন অনেকে। তবে অভ্যাস না থাকার কারণে পরের দিন আবার সমস্যাতেও পড়তে হয়! পরদিন কাজে গিয়ে শারীরিক অস্বস্তি যাতে না হয়, তার জন্য আগে থেকে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
উল্লাস বলার আগে খেয়াল করা জরুরি, কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় খাদ্য পেটে থাকলে সামান্য মাত্রায় মদ্যপান খুব ক্ষতি করতে পারবে না। তবে তার আগে জানা দরকার, কোন ধরনের খাবার খাবেন।
এই সব খাবার শুধু শরীরে অ্যালকোহলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে না, সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও জোগাবে। সব মিলিয়ে মদ্যপানের পরে শারীরিক অস্বস্তির আশঙ্কা কমবে।
কলায় ৭৫ শতাংশ জল থাকে। তা শরীরে প্রবেশ করলে ভিতর থেকে আর্দ্র থাকা যায়। প্রতীকী ছবি।
কী ধরনের খাবার খাবেন?
মদ্যপানের আগে পেট ভরে ওটস খেলে অনেকটাই কাজ দেয়। ওটসের ফাইবার অনেকটা শুষে নিতে পারে অ্যালকোহল। ফলে পানীয়ের প্রভাব শরীরে কম পড়ে। লিভার থাকে সুরক্ষিত। খানিকটা একই ধরনের কাজ করে কলাও। কলায় ৭৫ শতাংশ জল থাকে। তা শরীরে প্রবেশ করলে ভিতর থেকে আর্দ্র থাকা যায়। মদের প্রভাবে শরীর শুকিয়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা কমে। এই দুই ধরেনর খাবার সঙ্গে যদি কিছুটা বাদাম খেয়ে নেওয়া যায়, তবে আরও ঝরঝরে থাকবে শরীর। মদ্যপানের আগে গ্রিক ইয়োগার্টও খাওয়া যেতে পারে। এই খাবার শরীরে অ্যালকোহলের প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া কিনুয়া খাওয়া যেতে পারে। কিনুয়া প্রোটিন, ফাইবার এবং বেশ কিছু প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টে সমৃদ্ধ। এতে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামে বেশি মাত্রায় থাকে যা অ্যালকোহল পান করার কারণে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা কমাতে সাহায্য করে।