শ্বাসকষ্ট ঠেকাতে ভরসা রাখুন যোগেই। ছবি: সংগৃহীত।
ডিসেম্বর প্রায় শেষ হতে চলল। কমছে তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণও বেশ কম। এই আবহাওয়ায় অনেকেরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। সঙ্গে থাকে সর্দি। শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সি মানুষই এ সময়ে সর্দি-কাশিতে কষ্ট পান। যাঁদের অ্যালার্জি কিংবা হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের তো শিরে সংক্রান্তি। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ভরসা রাখতে পারেন প্রাণায়ামে। এ ক্ষেত্রে নিয়ম করে কপালভাতি প্রাণায়াম করলে বেশ উপকার পাবেন। কপালভাতি প্রাণায়াম হল শ্বাসের এক ধরনের যোগক্রিয়া। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে করলে এই ক্রিয়ার ফলে শরীর ও মন সচল থাকে। জেনে নিন, আর কী কী গুণ আছে এই ক্রিয়ার।
শরীরের উপরে প্রভাব
পেটের মেদ ঝরাতে এই প্রাণায়াম কাজে আসে। যাঁরা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও এই আসনটি করলে উপকার পাবেন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও এই আসন দারুণ উপকারী। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই আসন কার্যকরী। অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে, নিয়মিত এই আসনটি করে দেখতে পারেন। ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে, চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও এই আসন উপকারী। ফুসফুস চাঙ্গা রাখতেও এই আসন নিয়মিত করতে পারেন। শ্বাসজনিত যে কোনও সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কপালভাতির জুড়ি নেই।
মনের উপরে প্রভাব
স্নায়ুতন্ত্রের উপরে এই আসন প্রভাব ফেলে। রক্তচলাচলও স্বাভাবিক করে। তার ফলে মস্তিষ্ক সচল হয়। সারা দিন কাজের পরে ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে এই আসন। নিয়মিত কপালভাতি করলে মনঃসংযোগ বাড়ে, স্মৃতিশক্তিও উন্নত হয়।
কপালভাতি প্রাণায়াম হল শ্বাসের এক ধরনের যোগক্রিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
কপালভাতি করার নিয়ম
আরামদায়ক কোনও একটি আসনের ভঙ্গিতে বসুন, তা পদ্মাসন, বজ্রাসন বা সুখাসনও হতে পারে। মাথা ও শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। বুড়ো আঙুল ও তর্জনী জুড়ে হাতের তালুকে আকাশের দিকে রাখুন। চোখ বন্ধ করে নিন। স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শ্বাস নিন। শ্বাস ছাড়ার সময় পেটের পেশির উপর চাপ দিতে হবে। দ্রুত শ্বাস নিতে ও ছাড়তে হবে। বার দশেক দ্রুত লয়ে এই পদ্ধতি অভ্যাসের পর মিনিট দুই স্বাভাবিক লয়ে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার কাজ সারুন। প্রথম দিকে দশ বারের একটি সেট করুন। পাঁচটি সেটে সম্পূর্ণ হয় এই প্রাণায়ামের অভ্যাস। শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার প্রক্রিয়ার সবটাই পেট থেকে হবে। শরীরের বাকি অংশ স্থির রাখতে হবে। তবে রক্তচাপের রোগীদের এই প্রাণায়াম না করাই ভাল।