সকালের খাবারে ডিম থাকলে বাড়তি সুফল পাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত।
মাছ-মাংসের সঙ্গে স্বাদ এবং পুষ্টিগুণে সমান তালে পাল্লা দেয় যে খাবার, তা হল ডিম। ওজন কমানো থেকে শুরু করে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো— ডিমের জুড়ি মেলা ভার। আট থেকে আশি— ডিমের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। অন্য খাবার খেতে না চাইলেও ডিম দিয়ে তৈরি কোনও পদ বিনা বাক্য ব্যয়ে খেয়ে নেয়। ডিমে রয়েছে ভিটামিন ৬, ভিটামিন ১২, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, থিয়ামিন, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি-সহ নানা প্রয়োজনীয় উপাদান। শরীরের অন্দরে অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে ডিম। ডিম খাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের দিকে ডিম খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। সকালের জলখাবারে ডিম খাওয়ার সুফলগুলি কী?
ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে
কোলেস্টেরলের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। ডায়াবিটিসি, উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কোলেস্টেরলের সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। রোজ যদি ডিম খেতে পারেন, তাহলে ভাল কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বা়ড়ে। ফলে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে।
হার্ট ভাল রাখতে
হার্টের রোগে আক্রান্ত হলে বেশি ডিম খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তবে আগে থেকেই যদি ডিম খাওয়া যায়, তা হলে আর হার্টের সমস্যা দেখা দেয় না। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, সপ্তাতে ৪-৭টি ডিম খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে ৭৫ শতাংশ।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
প্রোটিন, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ ডিম রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভিতর থেকে শরীর সুস্থ এবং সবল রাখতে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। সকালের দিকে খেলে ডিমের সমস্ত উপাদান শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রবেশ করতে পারে। সুফলও মেলে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের অভাবে ওজন বাড়তে থাকে। তাই ডায়েটে প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। ডিম হল প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। প্রোটিনের গুণে ওজন ঝরে দ্রুত। তাই ডায়েট করলেও ডিম খাওয়া বন্ধ করা যাবে না।
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য
ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, লুটেইন, জিঙ্কের মতো পুষ্টিগুণ। চোখ ভাল রাখতে এই উপাদানগুলি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া থেকে শুরু করে কর্নিয়া ভাল রাখা— ডিম চোখ ভাল রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী।