রাতে ঘি-সহ দুধ খেলে সুফল মেলে আরও বেশি। ছবি সংগৃহীত
ঘি এবং গরুর দুধ পৃথক ভাবে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই ওয়াকিবহল। জানেন কি দুধের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খাওয়া কত উপকারী? অদ্ভুত শোনাচ্ছে? আমরা ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে ঘি খেয়ে অভ্যস্ত। রান্নার স্বাদ বাড়াতে এর কোনও তুলনাই নেই। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়, দুধের সঙ্গে ঘি খাওয়া হলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। রাতে ঘি-সহ দুধ খেলে সুফল মেলে আরও বেশি।
কী কী উপকার পেতে পারেন?
এই পানীয় আমাদের হজমে সাহায্যকারী এনজাইমের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। বিপাকক্রিয়া বাড়ায় এবং পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। অন্ত্রের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে। দুধের সঙ্গে ঘি-র মিশ্রণ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে।
গাঁটের ব্যথা কমাতে বেশ উপকারী এই পানীয়। ঘি-তে থাকা ভিটামিন কে-২ হাড়কে দুধের উচ্চ ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। ফলে হাড় শক্তিশালী হয়।
এই পানীয় ঘুমের উন্নতি ঘটায়। ঘি মেশানো এক কাপ দুধ আপনার স্নায়ুকে শান্ত করে এবং আপনাকে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় পাঠাতে সাহায্য করে।
প্রতীকী ছবি
ঘি এবং দুধ উভয়ই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার, যা ত্বককে উজ্জ্বল করে। দূষণ এবং মানসিক ক্লান্তির কারণে অনেক সময় ত্বক নিস্তেজ দেখায়। রাতে দুধ এবং ঘি খেলে তা ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায়। জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে।
নিয়মিত ঘি-সহ দুধ খাওয়া যৌন জীবনের পক্ষেও ভাল। এটি বীর্য উৎপাদনের সঙ্গে যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই সংমিশ্রণটি চিকিৎসকরাও সুপারিশ করেন।
শিশুদের জন্য ঘি মেশানো গরুর দুধ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। দুধের সঙ্গে ঘি খেলে শরীরের টিস্যুগুলির বিকাশ হয়। স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও এই মিশ্রণ বেশ উপকারী।
কী ভাবে বানাবেন ঘি আর দুধের মিশ্রণ?
একটি পাত্রে এক চামচ ঘি গরম করুন। এর পর এক কাপ দুধ দিয়ে মিশ্রণটি ভাল করে মিশিয়ে নিন। স্বাদ বাড়াতে কেশর ও সামান্য মধুও দিতে পারেন।