অবস্ট্রাকক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে বাপ্পি লাহিড়ির।
অবস্ট্রাকক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে বাপ্পি লাহিড়ির। এই রোগ থাকলে ঘুমানোর সময়ে অনিয়মিত হয়ে যায় শ্বাস-প্রশ্বাস। ঘুমের মধ্যে জোরে নাক ডাকা, মুখের ভিতরটা শুকিয়ে আসার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে বার বার ঘুম ভেঙে যায়। শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তার ফলে হতে পারে হাইপার টেনশন। সেই সমস্যায় নিয়মিত ভুগলে স্ট্রোকের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
প্রতীকী ছবি।
কিন্তু এই রোগের কারণ কী? কাদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় এই স্লিপ অ্যাপনিয়া?
এটি একটি ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’। ফুসফুসের রোগের চিকিৎসক সুস্মিতা রায়চৌধুরী জানান, স্থূলতার সমস্যা থাকলে এই রোগ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের গলা অনেকটা চওড়া, সে সব মানুষ বেশি আক্রান্ত হন এই রোগে। এর কারণ হল, ঘুমের সময়ে গলার পেশি শিথিল হয়ে যায়। মেদ বেশ থাকলে তখন শ্বাস নেওয়ার পথটি আটকে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ফলে ঘুমের মধ্যে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
কী ভাবে কমাবেন স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা?
তবে এ সব সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় জীবনধারায় সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে। সুস্মিতা জানান, এটি একেবারেই একটি লা‘ইফস্টাইল ডিজিজ’। অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা যেমন এই রোগ বাড়িয়ে দিতে পারে, তেমন জীবনযাপনের ভঙ্গিতে কিছু সাধারণ বদল তা নিয়ন্ত্রণও করতে পারে। চিকিৎসক বলেন, ‘‘স্থূলতার সমস্যা যেহেতু এই রোগ বাড়িয়ে দেয়, তাই জোর দিতে হবে শরীরের ওজন কমানোর দিকে। সে কারণে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কী খাচ্ছেন আর কী খাবেন না, সে বিষয়ে নজর রাখতেও হবে।’’ চিকিৎসকের পরামর্শ, কম কার্বোহাইড্রেট আর কম ফ্যাটযুক্ত খাবার সাহায্য করতে পারে স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে। তারই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে যেন ডায়াবিটিস কিংবা হাইপারটেনশনে না ভোগেন রোগী। কারণ স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকলে এই দু’টি রোগ তাড়াতাড়ি ধরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে সতর্ক করলেন চিকিৎসক।