হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়াদাওয়াতে বাড়তি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। ছবি- সংগৃহীত
অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, মানসিক উদ্বেগ, শরীরচর্চার অভাব— এমন কতগুলি কারণে উচ্চ রক্তচাপ বাসা বাঁধে শরীরে। তার হাত ধরেই জন্ম নেয় হৃদ্রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মতে, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ মূলত হৃদ্রোগ। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস থাকলে এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়াদাওয়াতে বাড়তি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর গবেষণা অনুসারে কলা হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কলার স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও বহু রোগের অন্যতম দাওয়াই এই ফল। ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন বি৬ এবং সি-সমৃদ্ধ কলা রোজের পাতে রাখলে কমতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। এর মূল কারণ কলার পটাশিয়াম উপাদান। একটি কলাতে প্রায় ৪৫৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। এটি শরীরে রক্তপ্রবাহ সচল রাখতে সাহায্য করে। কোষে কোষে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও কলা দারুণ কার্যকরী। হৎপিন্ড রক্ত পাম্প করা যাতে বন্ধ না করে দেয় সে খেয়াল রাখে পটাশিয়াম-সমৃদ্ধ কলা।
হার্টের অসুখ কমানো ছাড়াও রোজ কলা খেলে কী উপকার হয়?
১) কলায় অনেক পটাশিয়াম থাকে। তার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদ্যন্ত্র সুস্থ থাকে।
২) এই ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। বিজ্ঞানীদের মতে, ২৫ গ্রাম মতো ফাইবার খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা এক ধাক্কায় ৪০ শতাংশ কমে যায়। ফলে কলা খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমবে।
৩) নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও থাকে কলায়। ফলে রোজ কলা খেলে হার্ট যেমন ভাল থাকে, তেমনই ত্বক ও চুলেরও যত্ন হয়।
৪) ভিটামিন সি-ও থাকে কলায়। তাতে নানা ধরনের অসুখের আশঙ্কা কমে।