শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে ওজন ঝরার ক্ষেত্রে— এই সব্জির জুড়ি মেলা ভার। ছবি: শাটারস্টক।
ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে বাঁশের সব্জি খাওয়ার চল রয়েছে। চিনা খাবারেও উপকরণ হিসাবে কচি বাঁশ ব্যবহারের চল আছে। বাঁশের মধ্যে রান্না পরিবেশন করা হলেও বাঙালিরা রান্নায় বাঁশের ব্যবহার করেন না। অনেকেই জানেন না, কচি বাঁশ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই এর স্বাস্থ্যগুণও প্রচুর। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে ওজন ঝরার ক্ষেত্রে— এই সব্জির জুড়ি মেলা ভার।
রোজের ডায়েটে কচি বাঁশ রাখলে কী কী উপকার পাবেন?
হজমে সাহায্য করে: হজমের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই সমস্যা দূর করতে নানা রকম ওষুধ খেতে হয় বইকি! তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাতে কাজ হয় না। রোজের ডায়েটে কচি বাঁশ রাখলে হজমের সমস্যা দূর হয়। এ ছাড়া ফ্যাট দূর হয়, পেটে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।
হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখে: কচি বাঁশে ভরপুর মাত্রায় ফাইটোস্টেরল থাকে। এই যৌগ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে রক্ত চলাচলে ভাল হয়, হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
হাড় ভাল থাকে: কচি বাঁশে ভাল মাত্রায় ম্যাঙ্গানিজ ও ক্যালশিয়াম থাকে। এই দুই উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এ ছাড়াও এতে ভিটামিন সি বেশ ভাল পরিমাণে থাকে। এই ভিটামিন সি হাড়ে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ শোষণ করতে সাহায্য করে।
কচি বাঁশে ক্যালোরির মাত্রা খুবই কম এবং ফাইবারের মাত্রা বেশি। ছবি: শাটারস্টক।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: কচি বাঁশে ক্যালোরির মাত্রা খুবই কম এবং ফাইবারের মাত্রা বেশি। ডায়েটে এই সব্জি রাখলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। ফলে ভাজাভুজি, রাস্তার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে। তাই ওজন ঝরার প্রক্রিয়াও তরান্বিত হয়।
ত্বকের জেল্লা বাড়ায়: কচি বাঁশে সিলিকা নামে যোগ থাকে। এই যৌগ শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। কোলাজেন উৎপাদন বাড়লে ত্বকের জেল্লাও বাড়ে।