আয়লা সামার মুচা। ছবি: সংগৃহীত।
জন্মের পর থেকে সারা ক্ষণই ‘হাসিমুখ’ শিশুটির। নিজে তো হাসছেই, নেটমাধ্যমে অগুণতির মুখেও হাসি ফোটাচ্ছে। তবে এ হাসি সহজাত নয়। জন্ম থেকেই অতি বিরল এক অসঙ্গতির জেরেই সব সময়ই ‘হাসিমুখ’ শিশুটির। কারণ যা-ই হোক না কেন, মাস ছয়েকের শিশুকন্যাটি আপাতত নেটমাধ্যমের তারকার খ্যাতি কুড়োচ্ছে! গবেষকদের দাবি, এর আগে মাত্র ১৪ জনের মধ্যে এ ধরনের অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার আয়লা সামার মুচার জন্ম হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। তবে জন্ম থেকেই মুখগহ্বরের অসঙ্গতির জেরে পাকাপাকি ভাবে ‘হাসিতে’ ভরা তার মুখ। যেন সব সময়ই হাসছে শিশুটি। টিকটক বা ইনস্টাগ্রামের মতো অসংখ্য নেটমাধ্যম ছেয়ে গিয়েছে তার ‘হাসিমুখ’। নেট-তারকা হলেও মেয়েকে নিয়ে নিয়ে চিন্তিত আয়লার মা-বাবা ক্রিস্টিনা ভারচার এবং ব্লেজ মুচার।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ‘বাইল্যাটেরাল মাইক্রোস্টোমিয়া’ নামে একটি অতি বিরল জন্মগত অসঙ্গতিতে ভুগছে আয়লা। জন্মের পর নয়, গর্ভাবস্থা থেকেই তা ছিল। তবে ক্রিস্টিনা অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন কোনও পরীক্ষাতেই সে অসঙ্গতি ধরা পড়েনি। আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমে ক্রিস্টিনা বলেন, ‘‘আমরা কেউই এ ধরনের অসঙ্গতির কথা শুনিনি। মাইক্রোস্টোমিয়া নিয়ে জন্মেছে, এমন কারও সঙ্গে দেখাও হয়নি। ফলে আমাদের কাছে এটা হতবাক করার মতো ঘটনা।’’
অস্ট্রেলিয়ার যে হাসপাতালে আয়লার জন্ম হয়েছে, সেখানকার চিকিৎসকরাও এমন ঘটনা প্রথম শুনছেন বলে জানিয়েছেন। তবে ‘ক্লেফ্ট প্যালেট-ক্র্যানিওফেসিয়াল জার্নাল’-এর ২০০৭ সালের একটি সমীক্ষার অবশ্য দাবি করা হয়েছিল, বিশ্বে মাত্র ১৪ জনের মধ্যে এই অসঙ্গতি রয়েছে।
নেটমাধ্যমে হাসি ছড়ালেও আয়লার মা-বাবা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই অসঙ্গতি দূর করার করার চিন্তা-ভাবনা করছেন তাঁরা। এ নিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি, ইনস্টাগ্রামে ‘বাইল্যাটেরাল মাইক্রোস্টোমিয়া’ সম্পর্কে প্রচারও চালাচ্ছেন তাঁরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।