শীতে ডায়াবিটিস বাড়ে কেন? ছবি: সংগৃহীত।
এই কেক, কুকির মরসুম গেল। আবার পিঠেপুলির খাওয়ার দিন আসছে। তা ছাড়া বাড়িতে অতিথি এলে নতুন গুড়ের মিষ্টি, মোয়ার বাক্সের আগমন তো লেগেই আছে। স্বাভাবিক ভাবেই লাগামছাড়া খাওয়াদাওয়ার প্রভাব পড়ছে শরীরে। এই ক’দিনে তাপমাত্রা যেমন হু হু করে কমছে, তেমন রক্তে শর্করাও হু হু করে বেড়েই চলেছে। তবে চিকিৎসকেরা বলেন, গরমকালের তুলনায় শীতকালে ডায়াবিটিস বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। কারণ, ঠান্ডার সময়ে রক্তবাহিকাগুলির পথ সরু হয়ে আসে। তাই অক্সিজেনের সরবরাহ ক্রমশ কমতে থাকে। যার প্রভাব পড়ে রক্তে থাকা শর্করার উপর। তাই এই সময়ে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে বলেন চিকিৎসকেরা।
ডায়াবিটিস বেড়ে যাওয়ার পিছনে আর কী কী কারণ থাকতে পারে?
১) শরীরচর্চা না করা
লেপের ওম ছেড়ে সকালে উঠে শরীরচর্চা করতে আলস্য লাগে। কিন্তু শারীরিক ভাবে সক্রিয় না থাকলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় না। অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
২) প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া
শীতকাল এলে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে সংযম থাকে না অনেকেরই। তা ছাড়া প্রায় রোজই কারও না কারও বাড়িতে পার্টি থাকে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অতিরিক্ত পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩) রাতে খাবার দেরিতে খাওয়া
কাজে ব্যস্ত থাকলে রাতে খেতে দেরি হয়। তবে বাড়িতে থাকলেও প্রায় দিনই খাওয়ার সময় পেরিয়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রাতের খাবার দেরিতে খেলে টাইপ-২ ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের নিয়ন্ত্রণ বিঘ্নিত হয়।
উদ্বেগ, মানসিক চাপ থেকেও কিন্তু শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) মানসিক চাপ
উদ্বেগ, মানসিক চাপ থেকেও কিন্তু শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই ঘরে-বাইরে নানা রকম পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। মেডিটেশন, প্রাণায়াম, শরীরচর্চা— করে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৫) পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
রাতের পর রাত ঘুম হয় না। অপর্যাপ্ত ঘুম কিন্তু ইনসুলিন হরমোন উৎপাদন এবং ক্ষরণের হার ব্যাহত করে। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আগে ঘুমের স্বাভাবিক চক্র মেনে চলতে হবে।