পটাশিয়াম কমে গেলে কী হয় জানেন? ছবি: সংগৃহীত।
ঠান্ডায় জল কম খেলে শরীর ডিবাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। তার সঙ্গে রক্তে বিভিন্ন উপাদানের ভারসাম্য বজয় রাখতেও সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ঘুম হলেও যদি ক্লান্তি কাটতে না চায়, সে ক্ষেত্রে পটাশিয়ামের ঘাটতি হচ্ছে কি না, তা পরীক্ষা করিয়ে দেখা যেতে পারে। হঠাৎ পায়ের পেশিতে টান ধরার লক্ষণও কিন্তু এই উপাদানের ঘাটতি থেকে হতে পারে। শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম পরিচালনা করতে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম— এর মতো উপাদানের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বশে রাখতেও পটাশিয়ামের ভূমিকা রয়েছে। এর মধ্যে কোনও একটির পরিমাণ কমে গেলে জীবনহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। জল কম খেলে, অত্যধিক বমি অথবা ডায়েরিয়া হলে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে। বয়স্কদেরও হঠাৎ হঠাৎ এমন সমস্যার উদ্রেক হয়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে আর অন্য উপায় থাকে না। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সাধারণ খাবারের মধ্যে দিয়েই কিন্তু এই উপাদান শরীরে যেতে পারে।
কোন কোন খাবারের মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে?
১) কলা
রোজ একটি করে কলা খেলেই পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। পুষ্টিবিদেরা বলেন, মাঝারি মাপের একটি কলায় ৪০০ থেকে ৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে। যা শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন করার জন্য যথেষ্ট।
২) মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু ছাড়া শুক্তো রান্নার কথা ভাবাই যায় না। এই মিষ্টি আলুতে যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে। মাঝারি মাপের একটি কলায় ৪০০ থেকে ৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে।
৩) কমলালেবু
ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ করতে শীতে কমলালেবু খেয়েই থাকেন। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, পটাশিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল কমলালেবু। একটি কমলালেবুতে প্রায় ২৩০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
এক কাপ পালং শাক নিয়মিত খেতে পারলে শরীরে পটাশিয়ামের অভাব হবে না। ছবি: সংগৃহীত।
৪) পালং শাক
পুষ্টিবিদেরা বলেন, এক কাপ পালং শাক নিয়মিত খেতে পারলে শরীরে পটাশিয়ামের অভাব হবে না। প্রায় ৮০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে এই শাকে।
৫) অ্যাভোকাডো
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা পাউরুটির টোস্টের উপর মাখনের বদলে অ্যাভোকাডো মাখিয়ে খেয়ে থাকেন। একটি মাঝারি মাপের অ্যাভোকাডোতে প্রায় ৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। নিয়মিত খেতে পারলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে চলা যায়।