Night Eating Syndrom

রাতে খাওয়ার পরেও মাঝরাতে খিদে পায়? কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

মাঝরাতে খিদে পাওয়ার এই প্রবণতাকে ‘নাইট ইটিং সিনড্রোম’ (এনইএস) বলা হয়। প্রায় ১০০ জনের মধ্যে ১ জন এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই রোগের উপসর্গ কী?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ১৬:৫৩
Share:

রোজ মাঝরাতে খিদে পেলে কেন সতর্ক হতে হবে? ছবি: শাটারস্টক।

রাতে পেট ভরে খাওয়ার পরেও অনেকেই আছেন যাঁদের মাঝরাতে ফের খিদে পেয়ে যায়। অনেক সময় অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলেও রাতে বেশি খিদে পায়। মাঝরাতে খিদে পাওয়ার এই প্রবণতা হালকা ভাবে নিচ্ছেন? তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এটি আসলে এক ধরনের শারীরিক সমস্যা। চিকিৎসার পরিভাষায় যার নাম ‘নাইট ইটিং সিনড্রোম’(এনইএস)। প্রায় ১০০ জনের মধ্যে ১ জন এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। আর এই রোগের হাত ধরেই স্থূলতা, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী অসুখ বাসা বাঁধে শরীরে। ‘এনইএস’ থাকার ফলে ওজন কমানোও কঠিন হয়ে পড়ে। বেশি ওজন, দিনে কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া বা পরিবারে কারও এই সমস্যা থাকলে ‘এনইএস’ তে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

Advertisement

‘এনইএস’-এর লক্ষণগুলি কী কী?

১) রোজ মাঝরাতে খিদে পাবে এমন নয়। তবে সপ্তাহে দু’-তিন দিন এমন হতে পারে।

Advertisement

২) রাতের খাবার খাওয়া এবং ঘুমোনো পর্যন্ত বারেবারে খিদে পেতে পারে।

৩) দীর্ঘ দিন ধরে অনিদ্রার সমস্যা।

৪) সকালে উঠে খিদে কমে যাওয়া।

কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন এই সমস্যা?

মাঝরাতে খিদে পেলেও স্বাস্থ্যকর কিছু বিকল্প হাতের কাছে রাখুন। ছবি: শাটারস্টক।

রাত জেগে থাকার ফলে খিদে পাওয়ার প্রবণতা বেশি তৈরি হয়। কোনও বিষয় নিয়ে অত্যধিক চিন্তা, মানসিক উদ্বেগ ঘুম না আসার অন্যতম কারণ। রাতে ঘুমোনোর আগে মন শান্ত করতে কিছু ক্ষণ ধ্যানে বসুন। এতে মন ও মস্তিষ্ক দুই-ই শান্ত হবে। রাতে দীর্ঘ ক্ষণ মোবাইলে সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজ় দেখলেও ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। চেষ্টা করুন ঘুমোনোর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই মোবাইল থেকে দূরে থাকার। ঘুম না আসার সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এতে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে হঠাৎ খিদে পাওয়া থেকেও মিলবে মুক্তি। এক দিনেই অনিদ্রার সমস্যা কাটবে না। মাঝরাতে খিদে পেলেও স্বাস্থ্যকর কিছু বিকল্প হাতের কাছে রাখুন। গ্রিক ইয়োগার্ট, বাদাম, আখরোট, মাখানা, ভুট্টা এই সব খাবার খেতে পারেন রাতে খিদে পেলে। ভুলেও মিষ্টিজাতীয় খাবার, চিপ্‌স, কোল্ড ড্রিঙ্ক, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement