দ্রুত ওজন ঝরিয়ে পুরনো চেহারায় ফিরলেন মণীশ। ছবি: সংগৃহীত।
তিন সপ্তাহে ওজন ঝরিয়ে পুরনো চেহারায় ফিরলেন অভিনেতা-সঞ্চালক মনীশ পাল। টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ তিনি। বিভিন্ন রিয়্যালিটি শোয়ে সঞ্চালকের ভূমিকায় তাঁকে দেখা গিয়েছে। তবে বেশ কিছু দিন ধরেই টেলিভিশনের পর্দায় তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। ভুঁড়ি হয়ে গিয়েছিল। বেশ খানিকটা ওজনও বেড়ে গিয়েছিল। শোনা যাচ্ছে, সেই জন্যেই কাজ থেকে কিছু দিনের জন্য বিরতি নিয়েছিলেন তিনি । কিন্তু এত অল্প দিনেই যে ওজন ঝরিয়ে ফেলবেন, তা নিজেও ভাবতে পারেননি মনীশ। এর পুরো কৃতিত্ব অবশ্য মনীশ তাঁর ফিটনেস প্রশিক্ষক প্রবীণ নাইয়ারকে দিয়েছেন।
ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসাবে বলিপাড়ায় প্রবীণের নামডাক রয়েছে। মাত্র ২১ দিনে মণীশকে আগের চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়ার পর প্রবীণকে নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। তবে প্রবীণের মতে, তিনি শুধু পরামর্শ দিয়েছেন। পরিশ্রম যা করার, তা মণীশ করেছেন। তিনি যা বলেছেন, যে রুটিন করে দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন বলে অল্প দিনেই সুফল পেয়েছেন মণীশ। কোন রুটিন মেনে মাত্র তিন সপ্তাহে ওজন কমালেন মণীশ?
প্রবীণ বলেন, ‘‘আমি যখন প্রথম মণীশকে ডায়েট রুটিন বানিয়ে দিয়েছিলাম, ও প্রথমেই বলেছিল, 'আমি পারব না'। আমি মণীশকে বুঝিয়েছিলাম। ওঁকে দ্রুত রোগা হতে হবে, সেটা বার বার বিভিন্ন ভাবে বলেছিলাম। তার পর ও নিজেই ঠিক করল যে, নিয়ম যত কঠিনই হোক, মেনে চলবে। অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ও সব নিয়ম মেনেছে। তার ফলও পেয়েছে।’’
পিলাটেস থেকে ওয়েট ট্রেনিং— প্রতি দিন সব করতেন মণীশ। দিনের বেশির ভাগ সময় জিমেই কাটত তাঁর। সকাল সাড়ে ৭টার সময় উঠে কার্ডিয়ো করতেন। ঘণ্টাখানেক করার পর জলখাবার খেতেন। তার পর আবার ঘাম ঝরাতেন। ১২টার মধ্যে দুপুরের খাবার খেয়ে নিতেন তিনি। বিকালে আবার জিম। সন্ধে ৭টায় রাতের খাওয়া সেরে নিতেন। এই রুটিনের কোনও এ দিক-ও দিক হত না। প্রবীণের স্ত্রী মেহেক নাইয়ার নিজেও এক জন ফিটনেস প্রশিক্ষক। তিনিও শরীরচর্চার বিভিন্ন খুঁটিনাটি মণীশকে জানিয়েছেন। মণীশের কথায়,‘‘প্রবীণ এবং মেহেক না থাকলে মাত্র তিন সপ্তাহে ১০কেজি ওজন কমাতে পারতাম না। আমি ওঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।’’