স্বাস্থ্যকর খাবারেই লুকিয়ে রয়েছে চনমনে থাকার মন্ত্র। প্রতীকী ছবি।
সারা রাত ঠিকঠাক ঘুম হয়েছে। এক বারও ঘুম ভাঙেনি। অথচ সকালে উঠেও ক্লান্তি কাটছে না। ঘুম ভাঙার পরেও ফের ঘুমে জড়িয়ে আসছে চোখ। এমনকি, অফিসে যাওয়ার জন্য লোকের ঠেলা খেয়ে মেট্রোতে উঠেও ঘুম পাচ্ছে। অনেকেরই এমন হয়। সব সময়ে ঘুম পাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে অতিরিক্ত ক্লান্তি। কাজের চাপ, ব্যস্ততা, সময়ে খাবার না খাওয়া, শরীরচর্চার অভাব— মূলত এই কারণগুলির জন্য দুর্বলতা তৈরি হয়। কাজের চাপে নিজের দিকে সব সময় নজর দেওয়ারও সুযোগ পান না অনেকে। দীর্ঘ দিনের অনিয়মে দুর্বল হয়ে পড়া অস্বাভাবিক নয়। দুর্বলতা কাটাতে নিজেকে সঠিক নিয়মে বাঁধা ছাড়াও ভরসা রাখতে হবে কয়েকটি খাবারে। স্বাস্থ্যকর খাবারেই লুকিয়ে রয়েছে চনমনে থাকার মন্ত্র। শুধু জানতে হবে কোনগুলি খাবেন।
ড্রাই ফ্রুটস
ড্রাই ফ্রুটসের উপকারিতা বহুমুখী। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে এর জুড়ি মেলা ভার। ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার জন্য আলাদা সময় বার করার দরকার নেই। কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝে দু-একটা করে মুখে পুরলেই হবে। রাস্তার চাউমিন, এগরোল, মোমোর চেয়ে পেট ভরাতে ভরসা রাখুন ড্রাই ফ্রুটসের উপর।
দুগ্ধজাত খাবার
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার যে শরীরের যত্ন নেয়, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ উভয়েই নিয়ম করে দুধ, দই, পনির খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দুধে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। শুধু হাড়ের যত্ন নেয় না, ক্যালশিয়াম শরীর চাঙ্গা রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তা ছাড়া এই ধরনের খাবার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। খেতে ভাল না লাগলেও, দুর্বলতা কাটিয়ে চাঙ্গা হতে কয়েক দিন নিয়ম করে এগুলি খেতে পারেন।
ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার
শরীর সুস্থ রাখতে উপকারী একটি উপাদান হল ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমানো থেকে ওজন বশে রাখা, ফাইবারের উপকারিতার শেষ নেই। চনমনে থাকতে তাই বেশি করে ফাইবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। বিভিন্ন ব্রকোলি, বিভিন্ন ধরনের শাক, চিয়া বীজ, তুলসীর বীজে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এগুলি খেলে ক্লান্তি কাটবে দ্রুত।