আইসক্রিম শুধু মন নয়, শরীরেরও খেয়াল রাখে। ছবি: সংগৃহীত।
ফ্রিজের ঠান্ডা জল কিংবা শরবত যতই স্বস্তি দিক, গরমে আইসক্রিমের জনপ্রিয়তার কাছে বাকিদের হার মানতেই হয়। বাড়ির খুদে থেকে বয়স্ক সদস্য, আইসক্রিম পেলে মন খুশিতে নেচে ওঠে সকলেরই। বাঙালির সঙ্গে আইসক্রিমের বারোমাসের সম্পর্ক। কনকনে শীতেও গায়ে সোয়েটার চাপিয়েও আইসক্রিমের স্বাদে মজে থাকেন অনেকেই। রঙিন আইসক্রিমের জন্য খুদের বায়নায় নাজেহাল হতে হয় বাবা-মায়েদের। কিন্তু ঘামে ভেজা শরীরে আইসক্রিম খেলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে ভেবে অনেকেই আবার খেতে দেন না। আবার বেশি আইসক্রিম খেলে পেটখারাপ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে এই দু-একটা বিষয় বাদ দিলে আইসক্রিম স্বাস্থ্যকরও। আইসক্রিমের কিছু স্বাস্থ্যগুণ আছে।
ক্লান্তি দূর করে
গরমে ঘাম বেশি হয় বলে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কায়িক পরিশ্রম কম হলেও ক্লান্তি যেন ঘিরে থাকা সারা ক্ষণ। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে আইসক্রিম খেতে পারেন। আইসক্রিমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলি শরীর ভিতর থেকে চনমনে এবং চাঙ্গা করে তোলে।
হাড়ের খেয়াল রাখতে
হাড়ের যত্ন নিতে শুধু দুধ না খেয়ে, মাঝেমাঝে আইসক্রিমও খেতে পারেন। আইসক্রিমে পটাশিয়াম, ফসফরাস হাড় শক্তিশালী করে তোলে। এ ছাড়া মানসিক উদ্বেগ দূর করতেও আইসক্রিম ভরসা হতে পারে। কারণ আইসক্রিমে থাকা ট্রিপটোফ্যান শরীরে অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে।
রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যায়
আইসক্রিমে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, বি১২, ভিটামিন সি, ডি এবং ই। প্রতিটি উপাদান শরীরের জন্য উপকারী। বিশেষ করে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সমস্যার দাওয়াই হতে পারে আইসক্রিম।
দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরতি রাখতে
প্রবল খিদের পেটে যদি আইসক্রিম খাওয়া যায়, তা হলে আর অনেক ক্ষণ খিদে পায় না। কারণ আইসক্রিমে থাকা ক্যালোরি এবং ফ্যাট পেট ভর্তি রাখে। ঘন ঘন খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। তবে যেহেতু ক্যালোরি আছে, তাই বেশি আইসক্রিম খেলে আবার ওজন বেড়ে যেতে পারে। পরিমিত পরিমাণে খেলে অসুবিধা হবে না।