Vitrectomy Surgery

চোখে ‘ভিট্রেক্টোমি’ করাতে বিদেশ গিয়েছেন পরিণীতির স্বামী রাঘব! কী এই অস্ত্রোপচার, খরচ কত?

চোখের গুরুতর রোগে প্রায় দৃষ্টি হারাতে বসেছেন পরিণীতি চোপড়ার স্বামী রাঘব চড্ডা। তাই চোখে ‘ভিট্রেক্টোমি’ করাতে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন। রইল এই অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৪ ১৭:২৩
Share:

বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার স্বামী রাঘব চড্ডা চোখের এক জটিল রোগে আক্রান্ত। ছবি: সংগৃহীত।

আম আদমি পার্টির নেতা এবং বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার স্বামী রাঘব চড্ডার অসুস্থতার খবর এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। চোখের এক জটিল রোগে আক্রান্ত রাঘব। গত মঙ্গলবার তাই চিকিৎসার জন্য পাড়ি দিয়েছেন বিদেশে। সেখানকার হাসপাতালেই চোখে ‘ভিট্রেক্টোমি’ হবে রাঘবের। এটি চোখের অত্যন্ত সূক্ষ্ম একটি অস্ত্রোপচার। চোখে গুরুতর কোনও সমস্যা হলে সাধারণত এটি করা হয়।

Advertisement

চোখে কোন ধরনের সমস্যা হলে এই অস্ত্রোপচার করা হয়?

রেটিনা হল চোখের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রেটিনায় কোনও সমস্যা হওয়া মানেই দৃষ্টি চলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই রেটিনা সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা ‘ভিট্রেক্টোমি’ করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। রেটিনায় কোনও ছিদ্র দেখা দিলে রেটিনার অবস্থান বদলে গেলে এই অস্ত্রোপচার করা হয়। যেমন, রাঘবের চোখের রেটিনায় একটা ছিদ্র দেখা দিয়েছে। দৃষ্টিও আগের চেয়ে ক্ষীণ হয়ে এসেছে। সেই কারণেই এই অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চক্ষু চিকিৎসকেরা। এ ছাড়াও চোখে কোনও ভারী বস্তুর আঘাত লাগলে কিংবা ছানি পড়লেও ‘ভিট্রেক্টোমি’ করা হয়।

Advertisement

কী ভাবে হয় এই অস্ত্রোপচার?

রোগীর চোখের সাদা অংশে ছোট ছোট ছিদ্র তৈরি করা হয়। সেই ছিদ্রে বিভিন্ন খুদে আকৃতির যন্ত্র প্রবেশ করানো হয়। এ ক্ষেত্রে এই যন্ত্রগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি যন্ত্র চোখের সমস্যা প্রথমে চিহ্নিত করে। তার পর সেগুলি নিজের মতো করে মেরামত করে।

এই অস্ত্রোপচারের কী কী ঝুঁকি আছে?

‘ভিক্ট্রেক্টোমি’ দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়। পাশাপাশি এই অস্ত্রোপচারের মারাত্মক কিছু ঝুঁকিও আছে। কী কী হতে পারে?

১. এন্ডোফথালমাইটিস— চোখের অত্যন্ত বিরল সংক্রমণ। খুব কম ক্ষেত্রেই এমন অঘটন ঘটে। তবে হওয়ার আশঙ্কা আছে। বিশেষ করে ছানির সমস্যার ক্ষেত্রে ‘ভিট্রেক্টোমি’ করলে এই ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। তখন আবার আলাদা করে অন্য অস্ত্রোপচার করাতে হয়।

২. ছানি হলে— রেটিনার ছিদ্র বন্ধ করতে ‘ভিট্রেক্টোমি’ করালে আবার নতুন করে ছিদ্র তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৩. গ্লকোমা— ইদানীং গ্লকোমার ঝুঁকি অনেক বেড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন বয়সে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ‘ভিট্রেক্টোমি’ গ্লকোমার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

৪. রক্তপাত— চোখে রক্তপাতের মতো সমস্যা ‘ভিট্রেক্টোমি’র হাত ধরে জন্ম নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আবার দ্রুত সুস্থ হতে অন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

‘ভিক্ট্রেক্টোমি’ দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত।

চোখে ‘ভিট্রেক্টোমি’ হওয়ার পর কোন বিষয়গুলি মেনে চলা জরুরি?

এই অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সেরে উঠতে বেশ কিছু দিন সময় লাগে। তবে অস্ত্রোপচার সফল হলে আর কোনও অসুবিধা থাকার কথা নয়। তবে কিছু বিষয় মেনে চলতে পারলে ভাল।

১. হঠাৎ হঠাৎ চোখের সামনেটা ঝাপসা হয়ে এলে চিকিৎসককে জানাতে হবে।

২. চোখে কোনও অস্বস্তি হলে, তা সহ্য না করে চিকিৎসকের বলে দেওয়া ওষুধ কিংবা ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।

৩. চোখে চাপ পড়ে, এমন কাজ না করাই শ্রেয়।

৪. চোখের খুঁটিনাটি বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।

কোথায় হয়, খরচ কত?

বিদেশের হাসপাতালে তো হয়ই। তবে ভারতেও বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার হয়ে থাকে। আমদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, পটনা এবং আরও বেশ কিছু শহরের হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার হয়। এ দেশে প্রায় সব জায়গায় খরচ মোটামুটি ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement