সকালে ঘুম থেকে উঠে আধ ঘণ্টা হাঁটা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল। প্রতীকী ছবি।
শরীর সুস্থ রাখতে হাঁটাচলার কোনও বিকল্প নেই। শরীরচর্চা থেকে নিয়ম করে হাঁটা— সুস্থ থাকার রোজনামচায় এগুলি রাখার কথা বলেন চিকিৎসকরা। দীর্ঘ দিন রোগমুক্ত থাকতে এর চেয়ে ভাল উপায় আর হয় না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে আধ ঘণ্টা হাঁটা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমে এর ফলে।
এখনকার দিনে বেশির ভাগ শারীরিক অসুস্থতাতেই চিকিৎসকরা নিয়ম করে হাঁটার উপদেশ দেন। হাঁটার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সুস্থতার চাবিকাঠি। রোজ ঠিক মতো হাঁটলে শরীরে নানা রোগের আশঙ্কা কমে। সকালে হাঁটলে কোন কোন রোগের ঝুঁকি কমে?
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে
চিকিৎসকদের মতে, প্রতি সপ্তাহে মাত্র আড়াই ঘণ্টা হাঁটলেই নাকি হার্টের অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। অর্থাৎ আপনি যদি দিনে মাত্র ২১ মিনিট হাঁটাহাঁটি করেন, তা হলে আপনার হার্ট তো ভাল থাকবেই, সেই সঙ্গে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমবে। এমনকি, নিত্যদিনের হাঁটাহাঁটিতে খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়ে রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। রোজ সকালে হাঁটলে হৃদ্রোগের মোকাবিলা করা সম্ভব।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
অনেকের মতে, হাঁটা সহজতম শরীরচর্চা। বিশেষ করে সকালে হাঁটার গুণ অনেক। রীতিমতো ঘাম ঝরিয়ে দ্রুত পায়ে একই গতিতে হাঁটলে ওজন কমে সহজেই। হাঁটার ফলে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরে যায়। শরীরও চাঙ্গা থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
আপনি যত হাঁটবেন, আপনার রক্তচাপও তত নিয়ন্ত্রণে থাকবে। উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যার কারণে যাঁরা রোজ ওষুধ খান, তাঁরা এই সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারেন হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে। তাই বেশি হাঁটলে ওষুধ খাওয়ার দরকারও হয়তো পড়বে না।
ডায়াবেটিসের সমস্যায়
ডায়াবিটিস যে বহু রোগের উৎস, সে কথা এখন সকলেরই জানা। ডায়াবিটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে রেহাই মিলবে অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে প্রথমে ধীর গতিতে শুরু করতে হবে। তিন থেকে পাঁচ মিনিট ধীরপায়ে হাঁটার পর গতি বাড়াতে হবে। মাঝারি গতিতে পাঁচ থেকে দশ মিনিট পর্যন্ত হাঁটতে হবে। টাইপ টু ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে হাঁটাহাঁটি বেশ কাজ দেয়।