হৃদ্রোগের চিকিৎসায় নয়া দিশা ছবি: সংগৃহীত
প্রতি বছর পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যান হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে। হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো সমস্যা আগে থেকে বুঝে ওঠা কার্যত অসম্ভব। এ বার সেই অসম্ভবই সম্ভব হতে চলেছে বলে আশা গবেষকদের একাংশের। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, এ বার একটি রক্ত পরীক্ষাই বলে দিতে পারবে পরবর্তী চার বছরে কোনও ব্যক্তির হৃদ্রোগ অথবা স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতটা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার কলোরাডো প্রদেশের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা এই গবেষণা চালিয়েছে। একটি প্রখ্যাত বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত এই গবেষণাপত্র বলছে, বিজ্ঞানীরা এমন একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যা প্রচলিত যে কোনও রক্ত পরীক্ষার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ কার্যকর। নতুন এই পরীক্ষায় একই সঙ্গে রক্তে উপস্থিত ২৭টি প্রোটিন পরীক্ষা করা হয়। ইতিমধ্যেই প্রায় ১১ হাজার মানুষের উপর এই পরীক্ষা করে সাফল্য মিলেছে বলে দাবি গবেষকদের।
গবেষণায় ২২৮৪৯ টি প্লাজমার নমুনা থেকে প্রাপ্ত মোট ৫০০০ রকমের প্রোটিন পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা। তার মধ্যে থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে ২৭ টি প্রোটিন। এই প্রোটিনের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে এই রক্ত পরীক্ষা বলে দিতে পারবে কোনও ব্যক্তির আগামী চার বছরে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা শতকরা কত ভাগ। এমনকি, কত মাসের মধ্যে ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারেন তারও ইঙ্গিত দিতে পারবে এই রক্ত পরীক্ষা। গবেষণাপত্রটি এখনও মূল্যায়নের পর্যায়ে থাকলেও এই গবেষণা সাফল্য পেলে যে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচবে সে বিষয়ে এক মত অনেকেই।