আলসেমির নেপথ্যেও রয়েছে ভিটামিন, কোন কোনটির ঘাটতি হলে এমন হয়? ছবি: ফ্রিপিক।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেও আলস্য চেপে বসছে। আলসেমির কারণে কোনও কাজই করতে পারছেন না। খালি মনে হচ্ছে, দিনভর শুয়ে-বসে কুঁড়েমি করে কাটিয়ে দিতে পারলেই ভাল হয়। উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভাটা পড়ছে দিন দিন। এমন সমস্যায় কিন্তু অনেকেই ভুগছেন। তাঁদের সকালে অফিস যেতেও অনীহা, বাড়ির কাজকর্মেও মন নেই, নতুন কিছু করা বা শেখার আগ্রহও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। শরীর ও মনে যেন কোনও জোরই নেই। এই সব কেবল রোজের যাপনের কিছু বদভ্যাসের কারণেই হয় তা নয়, বরং এই আলসেমির নেপথ্যেও রয়েছে দুই ভিটামিন।
এখনকার ব্যস্ত সময়ে দু’দণ্ড জিরোবার জো নেই। তার মধ্যেই শরীর, মন জুড়ে পাহাড়প্রমাণ ক্লান্তি। অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, মানসিক চাপে ‘স্ট্রেস হরমোন’-এর ক্ষরণ বাড়ছে অনবরত। চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত আলস্য, ক্লান্তি ভাব বা ঝিমুনির কারণ কিন্তু ভিটামিনের অভাব। শরীরে ভিটামিন ও খনিজের নির্দিষ্ট ভারসাম্য আছে, তা বিগড়ে গেলেই তখন পেশির ক্লান্তি বাড়বে। শরীরে দুর্বলতাও বাড়বে।
কোন দুই ভিটামিনের ঘাটতিতে এমন হয়?
ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতির কারণে এমন হতে পারে। ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে ক্লান্তি, ঝিমুনি, শারীরিক দুর্বলতা অনেক বেড়ে যায়। হাড়, ত্বক, চুল, নখ, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি-র মাত্রা ঠিক থাকা জরুরি। ভিটামিন ডি-র অভাব হলে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া, হাঁটুতে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা যায়। হাড়, ত্বক, চুল, নখ, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি-র মাত্রা ঠিক থাকা জরুরি। ভিটামিন ডি-র অভাব হলে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া, হাঁটুতে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা যায়।
ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি হলেও ক্লান্তি বেড়ে যায়। অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়। এই ভিটামিনের অভাবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা অনেক বেড়ে যায়। বিভিন্ন মানসিক রোগের কারণও হতে পারে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি। তা ছাড়া হাত-পা কাঁপা, পেশির অসাড়তা, পেশিতে টান ধরা, ঝিমুনি, মাথা ঘোরার মতো লক্ষণও দেখা দেয়।
আলস্য কাটাতে হলে জীবনযাপনে কিছু প্রয়োজনীয় বদল আনতে হবে। কুঁড়েমি করে খাওয়া বাদ দেওয়া চলবে না। ভিটামিন সমৃদ্ধ সুষম খাবারই খেতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত জল খাওয়া, রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম ও প্রতি দিন নিয়ম মেনে শরীরচর্চাও জরুরি।