চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, স্বমেহন করার চেষ্টা করছিল ওই নাবালক। ছবি: সংগৃহীত
গোপনাঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতলে ভর্তি করানো হয় ১২ বছর বয়সি এক কিশোর। প্রাথমিক পরীক্ষার পর দেখা যায়, ওই নাবালকের যৌনাঙ্গে ঢুকে রয়েছে আস্ত একটি থার্মোমিটার! মূত্রনালির মধ্য দিয়ে শরীরের ভিতরে ঢুকে যাচ্ছিল সেটি। আর দেরি করেননি চিকিৎসকেরা। অবিলম্বে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। প্রাণ বাঁচে কিশোরে। চিনের ঘটনা।
ঘটনাটি ঘটেছে চিনের ছেংদু প্রদেশের ‘লংকোয়ানি পিপলস হসপিটাল’-এ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, স্বমেহন করার চেষ্টা করছিল ওই নাবালক। তখনই কোনও ভাবে মূত্রনালির মধ্যে ঢুকে যায় সেটি। প্রায় ৯ ঘণ্টা তীব্র যন্ত্রণার মধ্যে ছিল ওই নাবালক। হাসপাতালে এক্স-রে করে দেখা যায়, থার্মোমিটারটি এতই ভিতরে ঢুকে গিয়েছে যে, তা মূত্রথলিতে খোঁচা দিচ্ছিল। থার্মোমিটার বার করতে ‘কি হোল সার্জারি’ করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। এই পদ্ধতিতে ছোট্ট একটি ছিদ্রের মাধ্যমে বার করে আনা হয় থার্মোমিটারটি।
থার্মোমিটার বার করতে ‘কি হোল সার্জারি’ করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। প্রতীকী ছবি
যৌন শিক্ষার প্রয়োজন কতটা, এই ঘটনা তারই প্রমাণ, বক্তব্য চিকিৎসকদের। হাসপাতালের চিকিৎসক ছানজিং কে জানিয়েছেন, ওই নাবালক আপাতত স্থিতিশীল। বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে সে। এই ভাবে কোনও বাহ্যিক বস্তু যৌনাঙ্গে ঢুকে গেলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে যৌনাঙ্গে। ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ। তা ছাড়া থার্মোমিটারে পারদ থাকে, এই পারদ দেহে প্রবেশ করলে তীব্র বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। প্রাণ নিয়ে টানাটানি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।