ক্লান্তি দূর করতেও এক কাপ চায়ের জুড়ি মেলা ভার। প্রতীকী ছবি।
চায়ের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক দীর্ঘকালের। সকালে ঘুম ভাঙার পর চায়ের কাপে চুমুক না দিলে আলস্য কাটতে চায় না। তেমনই বন্ধুদের সঙ্গে সান্ধ্য আড্ডায় চায়ের কাপে তুফান না তুললে, মজলিশ জমে না। অভ্যাস হোক কিংবা অনভ্যাস— দিনে বেশ কয়েক বার চা না খেলে চলে না অনেকেরই। ক্লান্তি দূর করতেও এক কাপ চায়ের জুড়ি মেলা ভার। চা যে শুধু মনের খেয়াল রাখে, তা নয়। চায়ে যদি মেশাতে পারেন ৫টি উপকরণ, তা হলে কিন্তু ভাল থাকবে শরীরও।
দারচিনি
শরীরে খেয়াল রাখে দারচিনি। অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান সমৃদ্ধ দারচিনি হজমের গোলমাল কমায়। হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এমনকি সর্দি-কাশির সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা চায়ের সঙ্গে দারচিনি মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
শরীর ভাল রাখতেও পেস্তার জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত।
লবঙ্গ
লবঙ্গে উপকারী উপাদান অশেষ। হজমের গোলমাল রোধ করা থেকে হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করা, লবঙ্গ সত্যি সর্বগুণ সম্পন্ন। পেশির গঠন মজবুত করা থেকে শরীরে বিভিন্ন অংশে ব্যথা-বেদনা দূর করা। চায়ের সঙ্গে লবঙ্গ ফুটিয়ে খেলে পাশাপাশি আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
আদা
আদা দিয়ে লিকার চা খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। বিভিন্ন ধরনের ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে আদা উপযুক্ত ভরসা হতে পারে। আদা চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সর্দি-কাশি হলে আদা চা কিন্তু দারুণ কাজে আসে।
তুলসি
স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে তুলসি। বিশেষ করে ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের জন্য তুলসি-চা অন্যতম ওষুধ। তুলসিতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলস। যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পেস্তা
রান্নার স্বাদ বাড়ানো পেস্তার একমাত্র কাজ নয়। শরীর ভাল রাখতেও পেস্তার জুড়ি মেলা ভার। চায়ে যদি কয়েকটি পেস্তা ফেলে দেওয়া যায়, তা হলে স্বাদ তো বাড়েই, সেই সঙ্গে পেটের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। এ ছাড়া মানসিক অবসাদ এবং উদ্বেগ কাটাতেও পেস্তা দারুণ উপকারী।