খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
দাম্পত্য সম্পর্কের সমীকরণ বদলে দিতে পারে সন্তান। কিন্তু বাবা-মা হতে চেয়েও পারছেন না, এমন দম্পতির সংখ্যা কম নয়। গবেষণা জানাচ্ছে, মহিলা বা পুরুষ, উভয়ের সন্তানহীনতার নেপথ্যে রয়েছে আধুনিক জীবনযাত্রা। গবেষণা এবং নানা সমীক্ষা জানাচ্ছে, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত খাওয়াদাওয়ার অভাব যেমন সন্তানহীনতার ঝুঁকি বাড়ায়, তেমনই সঠিক ডায়েট মেনে চললে এই ঝুঁকি কমেও যায়। কেমন হবে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধির ডায়েট?
কেমন হবে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধির ডায়েট? ছবি: সংগৃহীত।
শাকসব্জি
প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে প্রতিদিনের পাতে রাখতে হবে শাকসব্জি, ফলমূলের মতো উদ্ভিদজাত খাবার। কারণ এই খাবারগুলিতেই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হল স্বাস্থ্যকর ফ্যাটগুলির মধ্যে অন্যতম। এই ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যাবে মাছ, চিয়া বীজ, আখরোটের মতো খাবারে। প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভরসা হতে পারে এই খাবারগুলি। এ ছাড়াও অলিভ অয়েল এবং অ্যাভোকাডোতে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। সেগুলিও খেতে পারেন।
উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার
ফাইবার এমনিতে শরীরের যত্ন নেয়। প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও কিন্তু ফাইবারের জুড়ি মেলা ভার। বিভিন্ন ধরনের ফল, শস্য, ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন সি এবং ই, বিটা ক্যারোটিন, সেলেনিয়াম হল গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দিয়ে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বেরি, সাইট্রাস জাতীয় ফল, সবুজ শাকসব্জি, বাদাম, শস্য— এই খাবারগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা অনেক বেশি।