ভিটামিন সি ও ফাইবার সমৃদ্ধ লেবু বা এই জাতীয় ফল ডায়াবিটিসের ‘সুপারফুড’ বলা চলে। ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভোগেন বহু মানুষ। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলতে হয়। ডায়াবিটিসের মাত্রা কমাতে জীবনে শৃঙ্খলা মেনে চলা প্রয়োজন। তা মেনেও চলেন অনেকেই। খাদ্যতালিকায় অনেক খাবার রাখা যায় না। আবার কিছু খাবার না রাখলেই নয়। তেমনই একটি খাবার হল লেবু। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার সমৃদ্ধ লেবু বা এই জাতীয় ফল ডায়াবিটিসের ‘সুপারফুড’ বলা চলে।
‘আমেরিকান ডায়াবিটিস অ্যাসোসিয়েশন’-এর তথ্য অনুসারে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে উল্লেখযোগ্য ভাবে কাজ করে লেবুর রস। লেবুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম সেই কারণে লেবু আরও বেশি করে ডায়াবিটিস উপযোগী ফল হয়ে উঠেছে। ডায়াবিটিস থাকলে অতি অবশ্যই রোজের খাদ্যতালিকায় লেবু রাখা জরুরি। কিন্তু কেন?
লেবু হল ভিটামিন সি, ফাইবার, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ একটি ফল। লেবুতে থাকা ফাইবার বিপাকেও সহায়তা করে। ভিটামিন সি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রভূত সাহায্য করে। কিন্তু প্রশ্ন হল ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন লেবু? রইল কয়েকটি উপায়।
১) ভাতের সঙ্গে লেবু মেখে খেতে পারেন। ডাল, ভাত আর লেবু— অনেকেরই প্রিয় খাবার। তবে ভাত ছাড়াও অন্যান্য পছন্দের খাবারেও লেবুর রস ছড়িয়ে নিতে পারেন। স্যালাডে লেবুর রস ছড়িয়ে নিলে খেতেও ভাল লাগবে। উপকারও পাবেন।
২) খালি পেটে এক গ্লাস লেবুর জল ডায়াবিটিসের অন্যতম পথ্য। এক কাপ ঈষদুষ্ণ গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। এটি শুধু ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করে না। ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
৩) লেবুর রস দিয়ে তৈরি করে নিন ‘ডিটক্স ওয়াটার’। সারা দিনে মাঝেমাঝেই এই পানীয়ে চুমুক দিন। শরীরের যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ বার করে দিতে এই ধরনের পানীয় দারুণ কাজ করে।
৪) ডায়াবিটিস থাকলে ভাত, আলু, ভুট্টার মতো স্টার্চ জাতীয় খাবার খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। তবে স্টার্চের পরিমাণ বেশি এমন খাবারে যদি লেবুর রস মিশিয়ে নেওয়া যায়, সেগুলি ততটাও ক্ষতিকারক হয়ে উঠবে না।