‘গ্রিন করিডর’। অনেকেই হয়তো এই শব্দবন্ধের সঙ্গে পরিচিত। আবার অনেকের কাছেই এটি নতুন। তবে প্রশ্ন হল কী এই ‘গ্রিন করিডর’? আসলে গ্রিন করিডর হল পুলিশের সহায়তায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য তৈরি করা বিশেষ ট্রাফিকবিহীন রাস্তা। এই সময়ে একটি নির্দিষ্ট রাস্তায় নির্দিষ্ট রুটে পুলিশি সহায়তায় যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অর্গান ট্রান্সপ্লান্টেশন বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেও এই গ্রিন করিডরের প্রয়োজন হয়। যদি অঙ্গদাতা এবং অঙ্গ গ্রহীতা একই হাসপাতালে না থাকেন, তখন সেই ক্ষেত্রে দাতার দেহ থেকে অঙ্গ বার করে যে হাসপাতালে গ্রহীতা আছেন, সেখানে সেই অঙ্গ নিয়ে যেতে হয়। তবে কোনও ব্যক্তির দেহ থেকে অঙ্গ নেওয়ার চার থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যেই সাধারণত সেই অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্পূর্ণ করতে হয়। আর তাই এক স্থান থেকে আর এক স্থানে অঙ্গ নিয়ে যেতে প্রয়োজন যানজটবিহীন রাস্তা। গ্রিন করিডোর অ্যাম্বুল্যান্স ট্রাফিক বিভাগের সহায়তায় এক স্থান থেকে আর এক স্থানে অঙ্গকে নিয়ে যায় সাধারণের থেকে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কম সময়ে। কেবল একই শহরে বা একই রাজ্যে নয়, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অন্য রাজ্য থেকেও প্রয়োজনে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে আনা হয় অঙ্গ।
পশ্চিমবঙ্গে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে প্রথম গ্রিন করিডর তৈরি করা হয় এই নভেম্বর মাসেই। ২০১৬ সালের ৪ঠা নভেম্বর রাত ১২টা বেজে ৪৭ মিনিটে কলকাতার বাইপাসের ধারে নামকরা বেসরকারি একটি হাসপাতাল থেকে কিডনি এবং লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেই রাতে গ্রিন করিডরের সাহায্যে ১৩ মিনিটেই সেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছয় অ্যাম্বুল্যান্স। সেই শুরু। তার পর থেকে একের পর এক সফল গ্রিন করিডরের আয়োজন করেছে এই রাজ্য। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সঙ্কটাপন্ন রোগীদের জন্যও ব্যবস্থা করা হয় গ্রিন করিডরের।
অন্যকে নতুন জীবন দিন। এগিয়ে আসুন এবং অঙ্গীকার করুন অঙ্গদানের। ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে — bit.ly/47a6kLV