বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রকেট
স্বাধীনতা দিবসের আগে ইতিহাস তৈরি করল ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন তথা ইসরো। ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকে মাথায় রেখে ৭৫০ জন স্কুল ছাত্রীরা সকলে মিলে তৈরি করল একটি রকেট। যা বিশ্বের সব থেকে ছোট রকেট। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ৭ অগস্ট, রবিবার সকালে এই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়।
বেশ কিছু ঝক্কি সামলে প্রাথমিকভাবে এই উৎক্ষেপণ সফল হলেও শেষ পর্যন্ত সেই আনন্দ স্থায়ী থাকেনি। সূত্রের খবর, উৎক্ষেপণের আগেই বেশ কিছু তথ্য হারিয়ে যায়। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে রকেটটি তার (নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছতে পারেনি। বিজ্ঞানীরা হারিয়ে যাওয়া সেই তথ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালালেও এখনও পর্যন্ত তেমন সফল হননি।
উৎক্ষেপণের পরেই ১২০ টন ওজনের ছোট স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল দু’টি স্যাটেলাইটকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রেরণ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে বেশ উদ্বেগে ছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীরা। এই রকেটে যে স্যাটেলাইট রয়েছে তা পৃথিবীর নিম্ন অক্ষে প্রদক্ষিণ করবে বলে জানানো হয়েছিল। সেখান থেকেই খুঁটিনাটি তথ্য পাওয়ার কথা ছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের।
এক নজরে রকেটের খুঁটিনাটি
স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলটি ৩৪ মিটার লম্বা। মূলত সাধারণ এসএসএলভি যে দৈর্ঘের হয়, তার থেকে এটি ১০ মিটার কম দীর্ঘ। ভেহিকল ডায়ামিটার ২ মিটার, পিএসএলভি-র ডায়ামিটার হয় ২.৮ মিটার। এই এসএসএলভিটি ১২০ টন ওজন বইতে সক্ষম, যখন একটি পিএসএলভি ৩২০ টন ওজন বইতে সক্ষম। এরা সাধারণত, ১৮০০ কেজি পর্যন্ত ভার বইতে সক্ষম।
“স্পেস কিডজ ইন্ডিয়া” নামক একটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অধীনে ৭৫০ স্কুল পড়ুয়ারা মিলেই এই স্টুডেন্ট স্যাটেলাইটটি তৈরি করে। রাত দু'টো থেকে শুরু হওয়া কাউন্টডাউনে সাত ধাপে উৎক্ষেপণ হয় ক্ষুদ্র রকেটের। যে সমস্ত ছাত্রীরা এই স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছিল, তারাও উপস্থিত ছিল উৎক্ষেপণের সময়ে।
ভারতের প্রথম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল ১৯৮০ সালে। তার পর কেটে গিয়েছে চার দশকেরও বেশি সময়। এরই মধ্যে নানা পর্যায়ে মহাকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন ছুঁয়েছে ভারত। শ্রীহরিকোটায় বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রকেটের উৎক্ষেপণ সফল না হলেও, এই অধ্যায় নতুন একটি ইতিহাস যোগ করল ভারতের মহাকাশ গবেষণায়।
এই প্রতিবেদনটি সংগৃহীত এবং ‘সাধের স্বাধীনতা’ ফিচারের একটি অংশ