ধারাবাহিক ‘ফুলকি’তে দিব্যাণী মণ্ডল। ছবি: জি বাংলা।
হইহই করে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘ফুলকি’র ৫০০ পর্ব পার। পরিচালক রাজেন্দ্রপ্রসাদ দাস নিরুত্তাপ। সেটেও কোনও উদ্যাপনের আবহ নেই। প্রত্যেকে গভীর মনোযোগে শুটিংয়ে ব্যস্ত। ইদানীং ‘মেগা’ শব্দের অর্থে বুঝি বদল এসেছে। ধারাবাহিকের সময়সীমা কমছে। মাত্র দু’তিন মাসেও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ধারাবাহিক। তার পরেও ‘রাণী রাসমণি’ থেকে ‘মিঠাই’— পরিচালকের প্রত্যেক ধারাবাহিক জনপ্রিয়। নেপথ্য কারণ কী?
জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল রাজেন্দ্রপ্রসাদের সঙ্গে। পরিচালক দুপুরের খাওয়া সারছিলেন। ফোনেই স্মিত কণ্ঠে বললেন, “গল্পের অভিনবত্ব সবচেয়ে বড় কারণ। সেই গল্পকে টানটান করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আরও বড় দায়িত্বের। সঙ্গে কলাকুশলী, অভিনেতাদের সহযোগিতা। সে সব সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারলে দর্শক আপনার পাশে থাকবেই। আমার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়ে আসছে। আমি ভাগ্যবান।” রাণী রাসমণির আবেদন সর্বজনগ্রাহ্য। পাশাপাশি, ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে এক মহিলা মিষ্টি বিক্রেতাকে মূল চরিত্রে রেখেছিলেন পরিচালক। ‘ফুলকি’তে পরিচালকের ইউএসপি, মহিলা বক্সার। তাঁর দাবি, এটাই দর্শককে আগ্রহী করে তুলেছে।
(বাঁ দিকে) দিব্যাণী মণ্ডল, সুদীপ সরকার (ডান দিকে)। ছবি: জি বাংলা।
পর পর সফল ধারাবাহিক ঝুলিতে থাকলে অনেকের মধ্যেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখা দেয়। আবার অনেকে বাড়তি চাপ অনুভব করেন। রাজেন্দ্রপ্রসাদ কোন দলে? বিনয়ের সঙ্গে উত্তর এল, “দুই দলের কোনও দলেই নেই। শুধু মন দিয়ে কাজ করায় বিশ্বাসী আমি। আমার ধারাবাহিক ক’দিন চলবে তা নিয়ে ভাবি না। দীর্ঘ দিন কাজ করতে করতে বুঝে গিয়েছি, নিজের সেরাটা দিলে ভাল কিছুই ফেরত আসে।” আগামী পর্ব যাতে আরও রুদ্ধশ্বাস হয় তার জন্য নতুন মোড় আসছে, কথা প্রসঙ্গে এ খবর জানাতেও ভোলেননি রাজেন্দ্রপ্রসাদ।
আগামীতে রুদ্রের (‘ফুলকি’ ধারাবাহিকের খলনায়কের চরিত্র) যাবতীয় দুষ্টুবুদ্ধি বাড়ির সকলের সামনে ফাঁস হতে চলেছে। ফাঁস করবে ফুলকিই। পাশাপাশি নায়িকা ফিরে পাবেন তাঁর হারিয়ে যাওয়া দিদিকে। এটাই কি ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকের তরফে দর্শকদের দীপাবলির উপহার? হেসে ফেলে পাল্টা প্রশ্ন পরিচালকের, “পর পর দুটো চমক পেলে দর্শক আরও খুশি হবে, কী বলেন?”