মায়ের কোলে বসে পুজোও দেখে ইউভান।
গত বছর থেকে দুর্গাপুজো হচ্ছে দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে। গত বছর থেকেই পুজোয় মাসির বাড়িতে ইউভান। ২০২০-র পুজোয় রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেলের বয়স মাত্র এক মাস। তখনই ধুতি, পাঞ্জাবিতে সেজে মা-বাবার কোলে চড়ে পুজোর একটি দিন পৌঁছে গিয়েছিল উৎসব বাড়িতে। যাওয়ার ধকলে বাকি সময় যদিও সে ঘুমিয়েই কাটিয়েছিল। এ বছর তা নয়! এক বছরের ‘বিগ বয়’ অষ্টমীতে বাড়ির সবার সঙ্গে গান গাইতে গাইতে পৌঁছে গিয়েছে মাসির বাড়ি! গাড়িতে তার ফূর্তি ছিল দেখার মতো। আন্দবাজার অনলাইনকে এ কথা জানিয়েছেন দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
কিছু দিন আগেই সপরিবারে মলদ্বীপ গিয়েছিলেন রাজ। বিদেশ সফরের দিন রাজ-পুত্র সেজেছিল মায়ের সঙ্গে মিলিয়ে। অষ্টমীতে ইউভান রাজের ‘সিম্বা’। এ দিন রাজ সেজেছিলেন ফুল ছাপের সাদা পাঞ্জাবি-পাজামায়। সাজে বাবার হুবহু ছায়া রাজ-পুত্র। সেও সেজেছে বাবার পোশাকেই। রাজ-ঘরনি আকর্ষণীয় ব্রোকেডের শাড়ি, সোনার ভারী গয়নায়। গাড়িতেই রাজ-শুভশ্রী নিজস্বী ভিডিয়োয় অনুরাগীদের অষ্টমীর শুভেচ্ছা জানান। দেখা যায়, একরত্তি জানলা ধরে দাঁড়িয়ে মনের আনন্দে গান গাইছে! ছেলে-বৌমার সঙ্গে দেবশ্রীর বাড়ির পুজো দেখতে গিয়েছিলেন রাজের মা লীলা চক্রবর্তীও।
মাসির বাড়ি পা দিয়েই আর এক মূর্তি ইউভানের। হাতের কাছে ঢাক পেয়ে আহ্লাদে আটখানা! মনের সুখে বাজাতে ব্যস্ত একরত্তি। এ দিকে ছেলের যাতে চোখেমুখে ঢাকের কাঠি না ঢুকে যায় তার জন্য সদা-সতর্ক শুভশ্রী। ইউভানের অবশ্যে সে সবে থোড়াই কেয়ার। কচি মুখের হাসিতে যেন এক ফালি শরতের রোদ্দুর। পরে মায়ের কোলে বসে পুজোও দেখে সে। বাবার কোলে চড়ে ছবি তোলে। পাশে মাসি আর দাদা অনীশ।