শরিফুল রাজ ( বাঁ দিকে)। পরীমণি ( ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
পরীমণি এবং শরিফুল রাজের সংসার ভাঙনের পথে। বিয়ের এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অশান্তি শুরু তাঁদের সংসারে। কখনও অভিনেত্রী বিদ্যা সিন্হা সাহা মিমের দিকে আঙুল তুলেছেন নায়িকা। কখনও আবার রাজের বান্ধবী সুনেরাহ বিনতে কামাল নিয়ে হয়েছে বিপুল অশান্তি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছাড়া পেশাদারিত্বের দিকেও তাঁরা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। ব্যক্তিগত সমস্যা থাকলেও আগামী দিনে কি তাঁরা একসঙ্গে অভিনয় করবেন? এই প্রশ্ন বার বারই উঠে আসছে।
বিগত বেশ অনেক দিন ধরে একসঙ্গে থাকছেন না তাঁরা। তবে কিছু দিন আগে ছেলের দশ মাস পূর্ণ হওয়ার আনন্দে পরীর পাশে বসে রাজ্যকে নিয়ে কেক কেটেছেন। তা হলে কি পেশাদারি সম্পর্ক বজায় থাকবে তাঁদের মধ্যে? বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘যুগান্তর’-কে নায়িকা জানিয়েছেন রাজের সঙ্গে আর বনিবনা হওয়া সম্ভব নয়। তিনি ছেলেকে নিয়ে যে সুখী আছেন সে কথাও জানিয়েছেন।
পরীমণি ‘যুগান্তর’-কে বলেন, “আগে আমায় একা মতে হত, এখন আমি মোটেই একা নই। আমার জীবন কানায় কানায় ভরপুর।” ভবিষ্যতে রাজ-পরীকে কি পর্দায় দেখা যাবে? সাফ উত্তর দিয়েছেন নায়িকা। তিনি বলেন, “আমি এতটাও অভিনয় করতে পারি না। রাজ আমার ছেলের বাবা। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কি আমি ভুলে যাব সেটা! আমার পক্ষে এমনটা ভাবা সম্ভব নয়। আমি তাই এই ভাবে কখনও কাজ করতে পারব না।”
তবে ১০ জুন একসঙ্গে তাঁদের কেক কাটতে দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকে। সেই ধোঁয়াশা নিজেই স্পষ্ট করেছেন অভিনেত্রী। সমাজমাধ্যমের পাতায় অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘আপনাদের মধ্যে অনেকের মতো আমিও খুশি হয়ে যাই খবরের এ সব শিরোনাম দেখে! সব ভুলে আবার এক হলেন...কিন্তু সব কি আর সব সময় এক হয়? আমরা ১০ তারিখটা (যেটি আমাদের জীবনের অন্যতম বিশেষ দিন, আমাদের বাচ্চার পৃথিবীতে আসার দিন এটি) উদ্যাপন করেছি মাত্র। আগামী দিনেও করব। যেখানে আমরা জীবনের অন্য কোন ইস্যু টানব না। ৯ তারিখ রাতে নানাভাই (পরীমণির দাদু) ঢাকায় আসেন। তার পর এই আয়োজন। শুধু নানাভাই রয়ে গেলেন আমার কাছে। আর, রাজ চলে গেল রাজের মতো... আশা করি এটা এখানেই শেষ হবে।’’
২৯ মে অভিনেতা শরিফুল রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত ভিডিয়ো ফাঁস হয়। তার পর থেকেই শুরু এই অশান্তির।