রিয়া-সুশান্ত।
বিহারে করা এফআইআর ভিত্তিহীন, বিহার সরকার কোনওভাবেই সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু রহস্যের তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে পারে না, বৃহস্পতিবার,তৃতীয় দিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টকে এ কথাই লিখিত ভাবে জানালেন রিয়া চক্রবর্তী।
অন্যদিকে, সুশান্তের বাবা কেকেসিংহ এ দিন সুপ্রিম কোর্টকে লেখেন, সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে মুম্বই পুলিশের কাছে বারে বারে এফআইআর নেওয়াআর্জি জানালেও তা নিতে চায়নি মুম্বই পুলিশ।তাঁর আরও দাবি, সুশান্ত যেহেতু বিহারের ছেলে তাই বিহার পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করে কোনও আইন লঙ্ঘন করেননি তিনি। তাঁর প্রশ্ন সুশান্তের মৃত্যুর চার দিন পর কেন রিয়াকে ডেকে পাঠাল মুম্বই পুলিশ। সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানির বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও এনেছে সুশান্তের পরিবার।
শুধুমাত্র রিয়া বা সুশান্তর বাবা নন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ দিন হলফনামা জমা করে বিহার পুলিশও। সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে একই সুরে গলা মিলিয়ে বিহারে এফআইআর দায়ের করার পিছনে মুম্বই পুলিশের ‘ব্যর্থতা’-কেই দায়ী করে তারা। মুম্বই পুলিশের উপর রাজনৈতিক চাপের কথা উল্লেখ করে বিহার সরকারের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে লিখিত ভাবেজানানো হয়, বিহার পুলিশের দলটি মুম্বইয়ে অনুসন্ধানের জন্য গেলে মুম্বই পুলিশের থেকে কোনও সাহায্যই পায়নি। বরং এক আইপিএস অফিসারকে নিভৃতবাসে পাঠিয়ে অনুসন্ধানে বাধার সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: নজরে রিয়ার কল লিস্ট, রহস্যময় ‘এইউ’-কে খুঁজছে সিবিআই
যদিও আজ সুপ্রিম কোর্টে রিয়া লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, সিবিআই তদন্তে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তিনিও চান সত্য সামনে আসুক। তিনি যোগ করেন, বিহার সরকার নয়, শীর্ষ আদালত যদি সরাসরি ১৪২ ধারা প্রয়োগ করে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেয় সে ক্ষেত্রে তিনি সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, যেহেতু তিনি এফআইআর বিহার থেকে মুম্বইতে নিয়ে আসার জন্য শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তা আটকানোর জন্যই অনৈতিক ভাবে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে বিহার সরকার।
মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে যে হলফনামা জমা করা হয়েছে তাতে অবশ্য সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে মুম্বই পুলিশ। বরং বিহারে দায়ের হওয়া এফআইআর কোনওমতেই গ্রাহ্য হয়না বলে লিখিত ভাবে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী অশোক চহ্বণ এ দিন বলেন, “মহারাষ্ট্র সরকারের সম্মতি ছাড়া সিবিআই তদন্ত কিছুতেই হতে পারে না।” অন্যদিকে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের বক্তব্য,“মুম্বই পুলিশের তদন্ত শেষনা হওয়া পর্যন্ত সবাইকে চুপ করে থাকা উচিত।’’
এ দিনই সুশান্তের রাঁধুনি এবং ট্যালেন্ট ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। সুশান্তের এই রাঁধুনিকে কাজে নিয়োগ করেছিলেন রিয়া। সুশান্তের মৃত্যুর দিন ওই রাঁধুনি অভিনেতার ফ্ল্যাটেই ছিলেন।