উইল স্মিথ।
অস্কার মঞ্চে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে রসিকতা ক্রিস রকের। মেনে নিতে পারেননি অভিনেতা উইল স্মিথ। ফলাফল? পুরস্কারের মঞ্চেই ‘উচিত শিক্ষা’ দিয়ে অভিনেতার সপাট চড় জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা-সঞ্চালকের গালে। যা ঔচিত্য নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত গোটা বিশ্ব। আর সেই চর্চার সূত্রেই ফাঁস, এই প্রথম নয়, আগেও এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন জনপ্রিয় হলিউডি অভিনেতা। ২০১২-য় একই ভাবে এক সাংবাদিককে থাপ্পড় মেরেছিলেন স্মিথ! কারণ, লাল কার্পেটে হাঁটা স্মিথকে স্নেহচুম্বন দিতে গিয়েছিলেন সেই সাংবাদিক!
স্মিথের দ্বিতীয় বারের এই চড় মারার ঘটনা আলোচনায় আসতেই ২০১২-র সেই ঘটনাও ফের শিরোনামে। সোশ্যাল মিডিয়ায়, সংবাদমাধ্যমে ভাইরাল তাঁর সাংবাদিককে চড় মারার ঘটনাও। যা দেখে ফের বিস্মিত এবং বিরক্ত বিশ্ব। স্বাভাবিক ভাবে এমন প্রশ্নও উঠেছে, সবাইকে যখন-তখন থাপ্পড় মারা কি তবে ‘রোগ’ স্মিথের? সে উত্তর খোঁজার আগে জানতে হবে কী ঘটেছিল ২০১২-য়।
সে দিন ‘মেন ইন ব্ল্যাক ৩’ ছবির মস্কো প্রিমিয়ার ছিল। ইউক্রেনীয় প্র্যাঙ্কস্টার ভিটালি সেদিউক অভিনেতাকে লাল কার্পেটে জড়িয়ে ধরেন। তাঁর দুই গালে চুম্বনও করতে যান। পরিবর্তে স্মিথ সঙ্গে সঙ্গে সেডিউককে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন! তার পরেই সপাট চড়।
সে দিন স্মিথকে উপস্থিত সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করেছিল, ‘‘আপনার সমস্যা কী?’’ অভিনেতার যুক্তি ছিল, ‘'ওই সাংবাদিক আমার একটি সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন। কথোপকথনের মধ্যেই বলেন, "আমি আপনার বড় ভক্ত। আমি কি আলিঙ্গন করতে পারি?” সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন স্মিথ। কিন্তু বিষয়টি নাকি এখানেই থামেনি। এর পরে সেই সাংবাদিক স্মিথকে চুম্বনের চেষ্টা করেন। তখনই তাঁকে ঠেলে দূরে সরান অভিনেতা। সপাটে চড়ও মারেন। এই আচরণের জন্য সে দিনও বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছিল না স্মিথের মনে। তাঁর দাবি ছিল, ‘‘কোনও অভিনেতার প্রতি প্রকাশ্যে সাংবাদিকের এই আচরণ বড়ই বিশ্রী!’’ পরে যদিও নিজের আচরণের জন্য অভিনেতার কাছে আন্তরিক ক্ষমা চেয়ে নেন সেই সাংবাদিক।