খুনসুটিতে মেতেছেন মানালি আর ইন্দ্রাশিস।
নতুন করে আবার বিয়ের সানাই বাজছে মানালি মনীষা দের জীবনে। লাল টুকটুকে বেনারসিতে তিনি নতুন কনে। আটপৌরে ভঙ্গিতে শাড়ি পরা মানালির খোঁপা ফুলের মালায় ঢাকা। টিকলি, শাঁখা-পলা, হালকা সোনার গয়না, কপালে চন্দন,পাশে ইন্দ্রাশিস রায়। যদিও তাঁর পোশাকে বিয়ের ছিটেফোঁটা গন্ধও নেই। তিনি টিশার্ট, প্যান্ট, জ্যাকেটে অনায়াস। অথচ দুজনে পাশাপাশি বসে আড্ডা দিচ্ছেন। হাসছেন, খুনসুটিতে মাতছেন। আর যেন কথার ফুলঝুরি ছোটাচ্ছেন!
‘ধুলোকণা’ ধারাবাহিকের সেট থেকে লাইভ সম্প্রচারে এসেছিল লালন আর ফুলঝুরি ওরফে ইন্দ্রাশিস, মানালি। ছিমছাম বাড়ি, পাশাপাশি বসে লালন আর ফুলঝুরি! লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিকের জনপ্রিয় দুই মুখ্য চরিত্র। আড্ডার ফাঁকে সেটও ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন তাঁরা। তুলনায় সাবেকি বাড়ি। নানা ভারী আসবাব আর মূর্তি দিয়ে সাজানো। বসার ঘর পেরিয়ে ভিতরের ঘরেও পা রেখেছেন তাঁরা।
বেশ কিছু দিন ধরে ফুলঝুরির বিয়ে নিয়ে বড্ড টানাপড়েন। লালন ভালবাসে ফুলঝুরিকে। কিন্তু তার পরিবার কিছুতেই এই বিয়ে মানবে না। তাদের ছেলে লেখাপড়া জানা, গান গাইতে পারে! বাবুদের বাড়ির ড্রাইভার। ওই একই বাড়িতে পরিচারিকা থুড়ি ‘ম্যানেজার’-এর কাজ করে ফুলঝুরি।
কেন এই মেয়েকে বাড়ির বৌ করবে লালনের পরিবার?
কম যায় না ফুলঝুরির পরিবারও। তারা ধনী ঘরের পাত্র মানিকের সঙ্গে বিয়ে দেবে মেয়ের। মোটা টাকা পাবে বদলে। যদিও মানিক ফুলঝুরির থেকে অনেক বড়। শেষ পর্যন্ত ফুলঝুরি কার ঘরে আলোর রোশনাই ছড়াবে? এই প্রশ্ন উসকে দিতেই দুই অভিনেতা সরাসরি মুখোমুখি হয়েছিলেন অনুরাগীদের। ইন্দ্রাশিসেরও জানার আগ্রহ, অনুরাগীরাই বা কী চাইছে? মানালি ওরফে ফুলঝুরির যুক্তি, পুজোর ছুটি কাটিয়ে আবার তারা কাজের মেজাজে। চিত্রনাট্যের দৌলতে সেটেও বিয়ে বিয়ে গন্ধ ছড়িয়েছে। এমন পরিবেশে, বিয়ের সাজে দর্শকদের মুখোমুখি হলে তাঁদের কী প্রতিক্রিয়া হবে, সেটা জানার ইচ্ছে থেকেও এই লাইভ আড্ডা।
লালন-ফুলঝুরিকে এক সঙ্গে দেখে লাইভজুড়ে একটাই বার্তা, ‘লালন তুমি বিয়ে করে নাও ফুলঝুরিকে।’ কারওর আকুতি, ‘মানিকের হাত থেকে বাঁচাতেই হবে ফুলঝুরিকে!’ কী বললেন দু’জনে? ইন্দ্রাশিস ওরফে লালনের দাবি, চিত্রনাট্য মেনে যতটা করা সম্ভব তত খানিই চেষ্টা করছেন তিনি। বাকিটা জানেন লেখক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তবে বিয়ে ঘিরে যে বড় কিছু মোচড় আসতে চলেছে ধারাবাহিকে, তারও আভাস মিলল তাঁদের কথা থেকে