‘মিঠাই’ ধারাবাহিক
বিয়ে ভাঙতে চলেছে জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের মুখ্য ২ চরিত্র মিঠাই-সিদ্ধার্থের? আগেও একবার বিবাহ বিচ্ছেদের কথা উঠেছিল তাদের। তখন ধারাবাহিকের মোদক পরিবারের মেয়ে শ্রীনিপার সঙ্গে মোদর বাড়ির জামাইয়ের ভাই রাতুলের বিয়ে দোরগোড়ায়। তাই ‘উচ্ছেবাবু’ ওরফে সিদ্ধার্থের ঘোষণা ছিল, বিয়ে ভাঙার উপযুক্ত সময় এটা নয়। এ কথা শুনে মোদক পরিবারের মতোই স্বস্তির শ্বাস ফেলেছিল ধারাবাহিকের অনুরাগীরাও। কিন্তু জি বাংলার সামাজিক পাতায় শেয়ার করা প্রোমো বলছে, সেই স্বস্তি সাময়িক। ১৪ আর ১৫ মে ২ দিন ধরে রাত ৮টায় মোদক পরিবারে রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠান। তখনই বিচ্ছেদের কাগজ নিয়ে আসছে আইনজীবী রেবতী।
প্রোমোয় রেবতীকে বলতে শোনা গিয়েছে, আগামী সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে হবে মিঠাই-সিদ্ধার্থকে। এ দিকে রাতুল-শ্রীনিপার বিয়ে নিয়েও বিড়ম্বনা কম হয়নি। রাতুলের পাকাপাকি দেশে বসবাসের সিদ্ধান্ত ভাল লাগেনি শ্রীনিপার। তাই সে বিয়ের দিন সাময়িক দুর্বলতায় বাড়ি থেকে পালিয়েছিল। সেই ঘটনা চাপা দিতেই রাহুলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় মোদক বাড়ির আর এক মেয়ে শ্রীতমার।
তার পরেই নতুন মেয়ে-জামাইকে নিয়ে পরিবারের সবাই মেতে ওঠে কবিপক্ষ পালনের আনন্দে। ঠিক যেমন মেতেছিল দোলযাত্রার সময়। কিন্তু এ বার অনুষ্ঠান শুরুর আগেই রেবতীর উপস্থিতি বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। লাল পাড় সাদা শাড়িতে সেজে ওঠা মিঠাইও আসন্ন বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় যেন অবশ। হতবাক সিদ্ধার্থও। অথচ তার মুখ চেয়েই বিচ্ছেদের কথা বলেছিলেন মোদক বাড়ির কর্তা দাদাই। কারণ, দাদাইয়ের সম্মান রাখতে গ্রামের মিষ্টি বিক্রেতা মিঠাইকে বিয়ে করেছিল সিদ্ধার্থ। এই বিয়ে সে মন থেকে মানতে পারেনি কোনও দিন। তাই দাদাই ছোট নাতিকে মুক্তি দিতেই এই পথ দেখিয়েছিলেন।
সিদ্ধার্থের অভিব্যক্তি বলছে, বিয়ে ভাঙতে তারও যেন কষ্ট হচ্ছে। মিঠাই কি পারবে নিজের বিয়ের বাঁধন টিকিয়ে রাখতে?