‘রাধে’ ছবিতে সলমন। ডান দিকে, ‘সূর্যবংশী’তে অক্ষয়
একের পর এক বড় বাজেটের ছবির ঘোষণায় স্বস্তির হাওয়া হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। অক্ষয়কুমারের ‘সূর্যবংশী’ মুক্তির দিন ঘোষিত হয়েছে আগামী ৩০ এপ্রিল, যে ছবির হাত ধরে অতিমারি-পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে বলিউড। আশায় হলমালিক ও ডিস্ট্রিবিউটররাও। আগামী তিন মাসে ‘সূর্যবংশী’, ‘রাধে’, ‘সত্যমেব জয়তে টু’, ‘এইটিথ্রি’র পরপর মুক্তিতে আস্থা রাখছেন সকলেই।
শুরু অবশ্য খানিকটা হলেও করে দিয়েছে ‘রুহি’। সিনেমা হলে ১০০ শতাংশ অকুপেন্সির ঘোষণার পরে রাজকুমার রাও-জাহ্নবী কপূর অভিনীত এই ছবি-ই সে অর্থে প্রথম বড় রিলিজ়। ৩.০৬ কোটি টাকার ওপেনিং ছিল ‘রুহি’র, যা এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯ কোটি টাকার কাছে ব্যবসা করেছে প্রথম সপ্তাহান্তের শেষে। কোভিড-পরিস্থিতিতে ব্যবসার এই চিত্র নেহাত মন্দ নয়। ফিল্ম এগজ়িবিটর অক্ষয় রাঠীর কথায়, ‘‘পোস্ট-লকডাউন পর্বে ‘রুহি’ই প্রথম ছবি, যা সিনেমা হলে দর্শক টানছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে ৩ কোটি টাকার ওপেনিং আগেকার ৯-১০ কোটির ওপেনিংয়ের সমান।’’
দেশের প্রায় ৫০০০ এবং দেশের বাইরে ৭৫০টি স্ক্রিনে ‘সূর্যবংশী’ রিলিজ়ের পরিকল্পনা নির্মাতাদের। রিলায়্যান্সের সিইও শিবাশিস সরকার বললেন, ‘‘ভারতীয় ছবির আন্তর্জাতিক ব্যবসার প্রায় ৭৫ শতাংশ আসে আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি থেকে। আগামী ক’মাসের মধ্যে সে সব দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠার আশা রাখছি।’’ অন্য দিকে, ইদে সলমন খানের ‘রাধে’ এবং ‘সত্যমেব জয়তে টু’র ব্যবসা ভাগ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকলেও মোটের উপর লাভের আশাই করছেন প্রযোজক-ডিস্ট্রিবিউটররা। মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে বিভিন্ন হিন্দি ছবির মোট ব্যবসা ৭০০ কোটির কাছাকাছি পৌঁছতে পারে বলে আশা করছেন ট্রেড অ্যানালিস্টরা।