অমিতাভ বচ্চন ও সঞ্জয় দত্ত। বলিউডের দুই তারকার মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভাল। বিগ বি-র গত জন্মদিনেও ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সঞ্জু।
কিন্তু একটি ফিল্মকে ঘিরে দুই তারকার মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। বলিউড জানে সেই কাহিনি।
সেটা নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিক। রাজনীতির অঙ্গন ছেড়ে নতুন করে তখন বলিউডে ফিরছেন অমিতাভ। একের পর হিট ছবি ‘শায়েনশা’, ‘অগ্নিপথ’, ‘হম’।
অন্য দিকে মাদকে আসক্তি কাটিয়ে নয়া উদ্যমে কেরিয়ারে ফিরছেন সঞ্জয় দত্ত। ‘নাম’ ছবিতে বেশ নাম করেছেন। পর পর হিট ‘সাজন’, ‘সড়ক’।
এই রকম সময়েই ‘খুদা গাওয়া’ ছবিতে কাজের আমন্ত্রণ পান সঞ্জয় দত্ত। মূল চরিত্রে অমিতাভ বচ্চন। নায়িকা শ্রীদেবী। কিন্তু সেই ছবি শ্যুটিং-এর মাঝপথেই ছেড়ে দেন সঞ্জয়।
অমিতাভ বচ্চন ও শ্রীদেবী। দুই তারকার সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাবে এক কথাতেই রাজি হয়ে যান সঞ্জয় দত্ত।
সেই সময়ে সঞ্জয়ের হাতে আরও অনেক কাজ থাকলেও ‘খুদা গাওয়া’-র শ্যুটিংয়ের জন্য তিনি ৭০ দিন সময় দেন পরিচালক মুকুল আনন্দকে।
এর পরেই শুরু হয় গোলমাল। তিনি ৭০ দিন সময় দিলেও মাত্র ১০ দিন শ্যুটিংয়ে ডাকা হয় সঞ্জয় দত্তকে।
এই প্রসঙ্গে মুকুল আনন্দ সঞ্জয়কে নাকি জানান, এখন অমিতজির শ্যুটিং চলছে। পরে সঞ্জয়কে ডাকা হবে।
পাল্টা সঞ্জয়ও জানিয়ে দেন, পরে তার পক্ষে আর ডেট দেওয়া সম্ভব হবে না। মাঝপথেই ছবি ছেড়ে দেন সঞ্জু।
সেই সময়ে সঞ্জয়ের মনে হয়েছিল, শ্যুটিংয়ের সময়েই যখন এমন ব্যবহার তখন সিনেমায় খুব বেশি গুরুত্ব পাওয়া যাবে না।
তত দিনে সঞ্জয় দত্তকে নিয়ে যেটুকু শ্যুটিং হয়ে যা তা ফেলে দিতে হয় পরিচালক মুকুল আনন্দকে।
যে চরিত্রে সঞ্জয় দত্তের অভিনয় করার কথা ছিল সেটি পান দক্ষিণের অভিনেতা নাগার্জুন।
জানা যায়, শ্রীদেবীই নাগার্জুনকে বেছেছিলেন সঞ্জয়ের পরিবর্ত হিসেবে।
‘খুদা গাওয়া’ মুক্তি পায় ১৯৯২ সালের ৮ মে। যদিও বক্স অফিসে তেমন সাফল্য পায়নি অমিতাভ-শ্রীদেবী অভিনিত সেই ছবি।