মধুবালা-দিলীপ কুমারকে নিয়ে চর্চা আজও জারি।
আজ তাঁর মৃত্যু দিন।অকালমৃত্যু।
৩৬ বছরে সব শেষ।দীর্ঘ ৯ বছর হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে বিছানা নিয়েছিলেন চলচ্চিত্রের আনারকলি।তবে শুধু চলচ্চিত্রেই নয়, বাস্তবেও সেলিমের প্রেমে পড়েন মধুবালা।দীর্ঘ সাত বছর চলেছিল তাঁদের প্রেমপর্ব। এই সম্পর্ক আকস্মিক ভেঙে যায় দুই খ্যাতনামীর অহং-এর জন্য।
একটি ছবির শ্যুটিং চলছে। বাইরে মধুবালাকে যেতে দিতে রাজি ছিলেন না তাঁর বাবা। পরিচালক-প্রযোজক অনুরোধ করেন দিলীপ কুমারকে। তিনি যেন এই প্রসঙ্গে মধুবালার বাবার সঙ্গে কথা বলেন।দিলীপ কুমার এই নিয়ে মধুবালার বাবার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি অভিনেতাকে অপমান করেন।মধুবালাও এ ক্ষেত্রে যদিও দিলীপ কুমারের পাশে দাঁড়াতে পারেননি।মধুবালার বক্তব্য ছিল, দিলীপ কুমার নয়, তাঁর বাবা আতাউল্লাহ খান-ই তাঁর প্রেমিকের কাছে অপমানিত হয়েছেন। মধুবালা স্পষ্ট জানান, তিনি তাঁর বাবার বিরুদ্ধাচারণ করতে পারবেন না। তিনি দিলীপ কুমারকে অনুরোধ জানান, তাঁর বাবার কাছে এই আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে।
মধুবালা আহত হন যখন দেখেন আতাউল্লাহর কাছে ক্ষমা চাননি দিলীপ কুমার। এই সামান্য ঘটনায় ভেঙে যায় দিলীপ কুমার-মধুবালার দীর্ঘ দিনের প্রেম।
১৯৬০ সালে মধুবালা বিয়ে করেন কিশোর কুমারকে। কিন্তু দিলীপকুমার বেশ কয়েক বছর কোনও সম্পর্ক থেকে দূরে ছিলেন। ১৯৬৬ সালে দিলীপ কুমার সায়রা বানুকে বিয়ে করলে শোনা যায়, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অসুস্থ মধুবালা। তার তিন বছর পরে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে চলে যান তিনি।